শক্তিগড় , ১৯ এপ্রিল – ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে গুলি করে খুন করা হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে। খুন হওয়ার পর ১৯ দিনের মাথায় পানাগড় থেকে গ্রেফতার করা হল অভিজিৎ মণ্ডলকে। তিনি কাঁকসার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ি চালক। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিজিৎ। নানা সূত্র ধরে তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছিল। অবশেষে ঘটনার ১৯ দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ধৃতকে বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। সেখানে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ।
গত ১ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় রাজু ঝার শরীর। পাশাপাশি তাঁর সহকারী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরই সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। জানা যায় একটি নীল গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা আসে। কাজ সেরে আবার ওই গাড়িতেই চম্পট দেয় তারা । ঘটনাস্থলে একটি নীল রঙের বাইকও পাওয়া যায়। তাতে একজনকে চেপে পালাতে দেখা গেছে বলে জানা যায় । পরে ওই নীল চারচাকা গাড়িটি শক্তিগড় থানার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই নীল গাড়িটিকে ঘটনার দিন ভোরে পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরডিহি চেক পোস্ট দিয়ে ঝাড়খণ্ড-বিহারের দিকে যেতে ও ওইদিনই আবার দুপুরে ফিরে আসতে দেখা যায়। গাড়ির হদিশ মিললেও অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারছিলেননা তদন্তকারীরা। কারণ, ওই নীল গাড়িটি দিল্লি থেকে চুরি করা হয়েছিল বলে জানতে পারে সিট।
Advertisement
রাজু ঝা খুনের তদন্তে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়। তদন্তকারীরা বিহাড়, ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তল্লাশি চালান। এমনকি এই খুনের নেপথ্যে উত্তরপ্রদেশের গ্যাঙস্টারও জড়িত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন। কিন্তু এসবের পরেও অভিযুক্ত এতদিন পানাগড়েই আত্মগোপন করলেন, নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
Advertisement
Advertisement



