মুম্বই: মৃত্যুর পাঁচ বছর অতিবাহিত। কিন্তু তা সত্বেও তিনি এখনো তাঁর ভক্তদের কাছে সমান জনপ্রিয়। তিনি বলিউডে আশির দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা শ্রীদেবী। শুধু বলিউডে নয়, চুটিয়ে কাজ করেছিলেন দক্ষিণী বিনোদন জগতেও। নব্বইয়ের দশকে বলিউডের প্রযোজক ও কপূর পরিবারের সদস্য বনি কপূরকে বিয়ে করেন শ্রীদেবী। তার পরে দু’দশকের বেশি সময়ের সংসার। দুই মেয়ে জাহ্নবী কপূর ও খুশি কপূরকে বড় করেছেন একসঙ্গে। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হঠাৎ মেলে দুঃসংবাদ। বিদেশের মাটিতে নাকি প্রয়াত হয়েছেন শ্রীদেবী। নায়িকার মৃত্যুতে রীতিমতো নড়ে গিয়েছিল বিনোদন জগৎ। স্নানাগারে বাথটাবে ডুবে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজতে দুবাইয়ে শুরু হয়েছিল তদন্ত। এমনকি, অভিযোগের তির উঠেছিল স্বামী বনির দিকেও। পাঁচ বছর পরে তিনিই ফাঁস করলেন স্ত্রীর মৃত্যুর নেপথ্যের সত্য।
২০১৮ সাল থেকে এই প্রশ্ন ভাবিয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। পুলিশি তদন্তে মৃত্যুর পেছনে দুর্ঘটনা জানান হলেও অনুরাগীদের মনে সন্দেহ থেকে গিয়েছিল মৃত্যু নিয়ে। সত্যিই কি বাথটাবে ডুবে মারা গিয়েছিলেন তিনি? সেই সময় তো হোটেলের ঘরের ছিলেন বনি? তা হলে তিনি তাঁকে বাঁচাতে যাননি কেন? এমন একাধিক প্রশ্ন ঘিরে সময়ে সময়ের তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বাথটাবেই বা কী করে ডুবে গেলেন নায়িকা? উঠেছে এই প্রশ্নও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্ত্রীর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে বনি জানান, স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি শ্রীদেবীর। তা হলে? বনি বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী তো আর পাঁচ জনের মতো স্বাভাবিক ভাবে মারা যায়নি। ওটা একটা দুর্ঘটনা ছিল। আমি এত দিন এই নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলিনি, কারণ ওর মৃত্যুর পরে তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন টানা ৪৮ ঘণ্টা ধরে আমাকে এ নিয়েই কথা বলতে হয়েছিল। এমনকি, আমাকে ‘লাই-ডিটেকটর টেস্ট’ও করাতে হয়েছিল। তার পরে তদন্তকারীরা বিশ্বাস করেছিলেন যে আমি কোনও অপরাধ করিনি। রিপোর্টেও তো প্রকাশ্যে এসেছিল যে দুর্ঘটনার ফলেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর।’ কিন্তু বাথটাবে কী ভাবে পড়ে গেলেন নায়িকা? বনি বলেন, ‘শ্রীদেবী মাঝে মাঝেই উপোস করত । সারা দিন কিছু খেত না। কারণ ও মনে করত যে পর্দায় সুন্দর দেখানোর জন্য ওকে ওর চেহারা ধরে রাখতে হবে। এমনকি, ও তো মাঝেমাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়েও যেত। চিকি়ৎসক জানিয়েছিলেন, রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে এটা হচ্ছে।’
Advertisement
অভিনয় জীবনে দীর্ঘ দিন ধরেই নাকি উপোস করায় অভ্যস্ত ছিলেন শ্রীদেবী। পর্দায় তাঁকে আকর্ষণীয় দেখতে লাগতে হবে, এই ভাবনাই তাড়া করত তাঁকে প্রতিনিয়ত। লাস্যময়ী চেহারা ধরে রাখার জন্যই নাকি খাওয়া-দাওয়া মাঝে মাঝে একেবারেই ছেড়ে দিতেন। বনি বলেন, ‘‘নাগার্জুন আমাকে জানিয়েছিলেন, একটি ছবিতে কাজ করার সময় নাকি উপোস করার ফলে বাথরুমে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল শ্রীদেবী। ওই দুর্ঘটনার ফলেই দাঁত ভেঙে গিয়েছিল ওর।’
Advertisement
Advertisement



