• facebook
  • twitter
Monday, 2 December, 2024

সর্ববৃহৎ ৮৫ কোটির জঙ্গি ফান্ডিং চক্রের হদিশ কাশ্মীরে

দিল্লি, ১১ নভেম্বর– জম্মুকে যেন কিছুতে শান্তিতে থাকতে দিতে রাজী নয় জঙ্গীরা৷ নানান সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জঙ্গী কার্যকলাপ৷ তবে সেই কার্যকলাপ কড়া হাতে দমন করে চলেছে ভারতীয় সেনা৷ সম্প্রতি তারই পরিচয় পাওয়া গেছে নানা সময় সৈন্যর হাতে জঙ্গী হোতাদের নিকেষের খবরে৷ থেমে না থেকে সৈন্যরা তাদের লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে৷ সেই ক্রমেই জম্মু

দিল্লি, ১১ নভেম্বর– জম্মুকে যেন কিছুতে শান্তিতে থাকতে দিতে রাজী নয় জঙ্গীরা৷ নানান সময়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে জঙ্গী কার্যকলাপ৷ তবে সেই কার্যকলাপ কড়া হাতে দমন করে চলেছে ভারতীয় সেনা৷ সম্প্রতি তারই পরিচয় পাওয়া গেছে নানা সময় সৈন্যর হাতে জঙ্গী হোতাদের নিকেষের খবরে৷ থেমে না থেকে সৈন্যরা তাদের লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়ে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে৷
সেই ক্রমেই জম্মু ও কাশ্মীরে লাগাতার তল্লাশি চালিয়ে যে ফান্ডিং চক্রের হদিস পাওয়া গেল তাতে সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় সন্ত্রাসী হামলার ফান্ডিং র্যাকেট ধরা পড়ার নজির নেই বলে দাবি তদন্তকারীদের৷ জানা গিয়েছে, তদন্তকারীরা ৮৫ কোটি টাকার সন্ত্রাসবাদী ফান্ডিং চক্রের হদিশ পেয়েছেন! এই বিপুল পরিমাণ টাকা জম্মু ও কাশ্মীর সহ দেশের অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নাশকতার কাজে ব্যবহার করার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে অনুমান৷ গত বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটিতে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)৷ তাতেই এই বিপুল পরিমাণ টাকার তহবিলের কথা প্রকাশ্যে এসেছে৷ তদন্তকারী এজেন্সি সূত্রে খবর, বিভিন্ন গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন করা হত৷
এসআইএ সূত্রের খবর, দেশজুডে় বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য যে এই বিপুল অঙ্কের তহবিল সংগ্রহ করা চলছে তা গোপন সূত্রে আগেই খবর পেয়েছিল তারা৷ গত অগস্ট মাসে এই সংক্রান্ত একটি ফৌজদারী মামলাও দায়ের করা হয়েছিল৷ তারপরেই তল্লাশি চালানো হয়৷ এই অভিযানে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ এই ফান্ডিং র্যাকেটের সঙ্গে দুবাই যোগ রয়েছে বলে দাবি এসআইএ-র৷ বুধবার তদন্তকারী সংস্থাটির তরফে ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় যার মধ্যে রয়েছে একজন সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক এবং একজন ব্যবসায়ীর বাড়ি৷
শুক্রবার সকালে তল্লাশি চালানো হয় শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগের দশটি জায়গায়৷ সেই অভিযানেই এই চক্রের কথা প্রকাশ্যে আসে৷ জানা গেছে, সাম্প্রতিক অতীতে কাশ্মীরে পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দ্বারা যে সমস্ত সন্ত্রাসী ফান্ডিং মডিউলের পর্দাফাঁস করা হয়েছে, এটি আকারে বহরে সেসবের চেয়ে কয়েক গুণ বড়৷ মূলত সোনার চোরাচালান এবং আরও অন্যান্য পথে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করা হত বলে জানা গেছে৷ এসআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, কারা এবং কোথা থেকে ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য অর্থ সরবরাহ করত তার খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ঘটনায় জডি়ত প্রত্যেকের শাস্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি৷ তারা আরও জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদ নিশ্চিহ্ন করতে তারা বদ্ধপরিকর৷