অরিন্দম ভট্টাচার্য
উন্নত আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বর্তমান সময়ে গ্ৰন্থাগারের অবস্থা যেখানে প্রায় শোচনীয় হয়ে উঠেছে, সেখানে অনেক বাধা অতিক্রম করে দক্ষিণেশ্বর শায়ক লাইব্রেরি ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্য পুস্তকের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে। কারণ বছরের পর বছর ধরে মানুষের সব জ্ঞান জমা থাকে বইয়ের ভেতরে। সীমাহীন জ্ঞানের উৎস হল বই । আর সেই বইয়ের মূল কেন্দ্র হল লাইব্রেরি। এই ভাবনা থেকেই আড়িয়াদহ – দক্ষিণেশ্বর এলাকার একদল শিক্ষিত তরুণের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালে গড়ে ওঠে পাঠ্য বইয়ের শায়ক লাইব্রেরি। যারা ভেবেছিলেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠ্যপুস্তক দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করা। কারণ সকল ছাত্র ছাত্রীদের সব বই কিনে পড়া সম্ভব হয় না। এই ভাবনা থেকেই শায়ক লাইব্রেরির পথ চলা শুরু। তবে তা মোটেই মসৃণ হয় নি। ছিল না কোন স্থায়ী ঠিকানা।
নানান ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত যার স্থায়ী ঠিকানা হয় আড়িয়াদহে নেপালচন্দ্র চ্যাটার্জি স্ট্রীটের ডা. রবীন্দ্র নারায়ণ গাঙ্গুলির বাড়িতে। আড়িয়াদহ – দক্ষিণেশ্বর এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের ভূমিকাও শায়ক লাইব্রেরি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অপরিসীম হয়ে ওঠে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের অনার্স ও পাস কোর্সের বইয়ের বিপুল সম্ভার রয়েছে এই লাইব্রেরিতে। সম্পূর্ণ বেসরকারীভাবে পরিচালিত ছাত্র ছাত্রীদের সামান্য অর্থে শায়ক লাইব্রেরির সদস্য সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। শুধু আড়িয়াদহ – দক্ষিণেশ্বর এলাকার নয়, দূর দূরান্ত থেকে বহু ছাত্র ছাত্রী এই লাইব্রেরির সদস্য। সকলের আশা শায়ক লাইব্রেরি সব রকম বাধা অতিক্রম করে সকলের সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে চলুক।