• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

ট্যাক্সিওয়েতেই ফ্লাইটের এসি কাজ করছিল না

২০১০ সালের ২২ মে। দুবাই থেকে আসা বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটির ম্যাঙ্গালোরে অবতরণ আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। কিন্তু সেই অবতরণেই আগে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

ফাইল চিত্র

হীরক কর

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদ থেকে ওড়া ফ্লাইটটির এসি শুরু থেকেই ঠিকমত কাজ করছিল না। ২৪২ জন যাত্রী ছিল লন্ডনগামী বিমানে। টেক-অফের পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। এই বিমান দুর্ঘটনায় ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে, একটি পরিবারে ছিল ৫১ বছর বয়সী প্রৌঢ়া ইয়াসমিন ভোহরা, তাঁর ভাইপো পারভেজ ভোহরা এবং ভাইপোর ৪ বছর বয়সী মেয়ে জুভেরিয়া। ইয়াসমিনের দুই সন্তান ৫-৬ মাস ধরে লন্ডনে থাকেন। তাঁদের স্ত্রীরা অন্তঃসত্ত্বা বলে দেখতে যাচ্ছিলেন ইয়াসমিন। ইয়াসিন তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিনকে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে নামিয়ে দিয়েছিলেন। ইয়াসিন জানান, “টেক-অফের ঠিক আগে ইয়াসমিন আমাকে ফোন করে বলেছিলেন যে এসি কাজ করছে না এবং অদ্ভুত অস্বস্তি হচ্ছে। শুনে আমি তাঁকে বলেছিলেন একটু পরেই চালু হবে”। আর টেক-অফের পরেই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর থেকেই বলা হচ্ছিল, বিমানের ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কার কারণে বিপর্যয়। তবে সেই দাবি ছাপিয়ে ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে যে, গাফিলতির কারণেই এতগুলো প্রাণ গেল। জাতীয় অ্যারোস্পেস ল্যাবরেটরিজ (এনএএল)-এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর শালিগ্রাম জে মুরলীধর একে ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিমান দুর্ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্য ‘ফুয়েল কনট্যামিনেটেড’ বা ‘জ্বালানি দূষণের’ দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যা বিমানের দুটি ইঞ্জিনের একসঙ্গে বিকল হওয়ার পিছনে মূল কারণ হতে পারে।

মুরলীধর বলেছেন, বোয়িং ড্রিমলাইনার একটি অত্যাধুনিক এবং সর্বাধিক সুরক্ষিত বিমান। এমন প্রযুক্তিনির্ভর বিমানে দুটি ইঞ্জিনের একসঙ্গে থ্রাস্ট লস সাধারণত দেখা যায় না, যদি না জ্বালানিতে দূষণ থাকে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের জ্বালানি দূষণ মানে হল বিমানে যে জ্বালানি ব্যবহার হয়, সাধারণত অ্যাভিয়েশন টারবাইন ফুয়েলে (এটিএফ) অন্য কোনও পদার্থ মিশে থাকে। তা বৃষ্টির জল, অপরিষ্কৃত ট্যাঙ্ক থেকে মিশে যাওয়া ধুলো ময়লা, জৈব পদার্থ বা ব্যাকটেরিয়া (দীর্ঘদিন ধরে সঞ্চিত জ্বালানিতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে), অন্য রাসায়নিক পদার্থ, যেমন ডিজেল বা পেট্রল ভুলবশত মিশে যাওয়া, ট্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ ক্ষয় থেকে লোহাচূর্ণ বা মরচে মিশে যাওয়া। এই জ্বালানি দূষণ বিমানের ইঞ্জিনে মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে, এবং অনেক সময় তা দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দেয়। কারণ, জ্বালানি ঠিকভাবে ইঞ্জিনে পৌঁছতে পারে না। ফুয়েল লাইন ব্লক হয়ে যায়। ফলে মাঝ আকাশে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, রাসায়নিক বিক্রিয়ায় মাঝ আকাশে বিমানে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে। জ্বালানি দূষণ শনাক্ত করতে বিমানবন্দরে এবং মেনটেন্যান্স পয়েন্টে কিছু স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি রয়েছে। প্রতিটি বিমানে উড়ানের আগে স্যাম্পল টেস্ট করা হয়। মনে রাখতে হবে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে পাইলট ‘মে-ডে’ বার্তায় বলেছিলেন, “ইঞ্জিনে থ্রাস্ট নেই, শক্তি হারাচ্ছি, বিমানটি তুলতে পারছি না।” এর অর্থ ইঞ্জিনে ঠিকভাবে জ্বালানি পৌঁছচ্ছিল না। কনট্যামিনেটেড ফুয়েল, ‘ক্লোগড ফিলটার্স’ অথবা ‘ফুয়েল প্রেশার রেগুলেটর ফেলিওর’ যদি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হয়, তবে প্রশ্ন উঠছে, জ্বালানি পরীক্ষায় কার গাফিলতি ছিল? মুরলীধরের মতে, এখন মূল গুরুত্ব পাওয়া উচিত ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)-এর ডেটা বিশ্লেষণের দিকে। এই তথ্যগুলো থেকেই বোঝা যাবে পাইলটের শেষ মুহূর্তের কথোপকথন, ইঞ্জিনের অবস্থা ও বিমানের উচ্চতা বা গতি সংক্রান্ত তথ্য। দুর্ঘটনার প্রকৃতি বিচার করে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পাখির ধাক্কা লাগলেও দুটি ইঞ্জিন একসঙ্গে বন্ধ হতে পারে না। কিন্তু এখানে সেটাই ঘটেছে। এর অর্থ, এখানে আরও গভীর কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা জ্বালানি দূষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এআই-১৭১ ফ্লাইটে প্রায় ৩৫ টনের বেশি জ্বালানি ছিল লন্ডন পৌঁছনোর জন্য। সেই জ্বালানির দূষণই যদি ঘটিয়ে থাকে ইঞ্জিন থ্রাস্ট লস, তবে এটি স্পষ্টতই গ্রাউন্ড টেকনিক্যাল টিম ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগের গাফিলতি। ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল, যিনি লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন হিসাবে ৮,২০০ ঘণ্টার উড়ানে অভিজ্ঞ এবং সহকারী ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার, যাঁর ফ্লাইং আওয়ার ছিল ১,১০০— এত অভিজ্ঞ পাইলটদের পক্ষেও বিমানটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রশ্ন উঠছে, বহু স্তরে প্রস্তুতির ঘাটতি ছিল কি না?

দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে বিমানটি রানওয়ে ২৩ থেকে ওড়ে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-তে ‘মেডে’ বার্তা আসে, কিন্তু পরবর্তী কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। বিমানটি বিমানবন্দর এলাকা পেরোনোর আগেই মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে এক ভয়াবহ আগুনের গোলায় পরিণত হয়। এই দুর্ঘটনা ভারতীয় অসামরিক বিমান চলাচলের সুরক্ষা ব্যবস্থার এক ভয়াবহ ত্রুটির প্রতিফলন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরাই প্রশ্ন তুলছেন, জ্বালানির মান পরীক্ষার নিয়ম কি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল? কী কারণে এত আধুনিক বিমান একেবারেই উচ্চতা না পেয়ে ভেঙে পড়ল? বোয়িং সংস্থা ও এয়ার ইন্ডিয়ার অভ্যন্তরীণ নজরদারি কোথায় ছিল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে আরও বিস্তৃত ও স্বচ্ছ তদন্ত এখন সময়ের দাবি। কারণ এই দুর্ঘটনা শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত নয়, এটি ‘গাফিলতি ও নজরদারির চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রতীক’ হয়ে উঠেছে।

যেকোনো বিমান দুর্ঘটনার পর তদন্তের জন্য প্রথমেই ব্ল্যাক বক্সের খোঁজ করা হয়। কারণ এই ব্ল্যাক বক্সে ফ্লাইটের যাবতীয় তথ্য এবং ককপিটে পাইলট, কো-পাইলট ও অন্যদের কথোপকথন স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড হয়ে থাকে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)— এই দুটি ব্ল্যাক বক্সে থাকে প্লেনের পেছনের দিকে। পাইলটদের হেডসেট ও ককপিটের মাঝামাঝি স্থানে থাকে প্রায় চারটি মাইক্রোফোন। ওদের কাজ হলো সেখানকার কথোপকথন রেকর্ড করে পেছনের ব্ল্যাক বক্সে জমা করা। আধুনিক মডেলের সিভিআরে শেষ দু’ঘণ্টা পর্যন্ত কথাবার্তা রেকর্ড থাকে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ব্ল্যাক বক্সের বিভিন্ন তথ্য থেকে শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি জানা যায়। এভাবে দুর্ঘটনার কারণ উদ্‌ঘাটনের মাধ্যমে পরবর্তীকালে ওই ধরনের বিপর্যয় এড়ানোর উপায় বের করা ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া সম্ভব, ব্ল্যাক বক্স তাই খুব জরুরি।

এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটটির ব্ল্যাক বক্স প্রায় অক্ষত বলে জানা গেছে। তাই এতে থাকা তথ্য ভারতেই বের করা হবে। সাধারণত তথ্য বের করার জন্য ব্ল্যাকবক্স ইঞ্জিন প্রস্তুতকারকদের কাছে পাঠানো হয়। তথ্য বের করার জন্য আমেরিকায় বিমান নির্মাণকারী সংস্থা বোয়িং-এর সদর দফতরে পাঠাতে হতো। কিন্তু ব্ল্যাকবক্স অক্ষত থাকায় তার আর প্রয়োজন হবে না। বিমানের প্রথম ব্ল্যাকবক্সটি ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। দ্বিতীয়টি রয়েছে বিমানের লেজের অংশে। বোয়িং ১৭১-এ আছে ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার এবং ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। উদ্ধার করা ব্ল্যাক বক্সে কেবল ককপিট থেকে ভয়েস রেকর্ডিংই নয় সেই সঙ্গে বিমানের ভেতরের প্রতিটি কার্যকলাপের তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটরা কোন বোতাম টিপেছিলেন এবং তাঁরা কোন লিভারগুলোতে চাপ দিয়েছিলেন সেইসব তথ্যও রয়েছে।

বিমান আবিষ্কারক রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথমে বিমানের পাখার ঘূর্ণন সম্পর্কিত রেকর্ড রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে উন্নত ধরনের ব্ল্যাক বক্সের প্রচলন হয়। ব্ল্যাক বক্সগুলো এমনভাবে তৈরি যে আগুন, জল, চাপ, তাপ বা আঘাতে সহজে নষ্ট হয় না। দুর্ঘটনায় বিমান হয়তো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়, আগুনে পুড়ে যায় বা জলে ডুবে যায় কিন্তু ব্ল্যাক বক্স টিঁকে থাকে।

নামে ব্ল্যাক বক্স হলেও এর রং কিন্তু কালো নয়। সাধারণত এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের, এর গায়ে থাকে প্রতিফলক ফিতা (রিফ্লেক্টিভ টেপ), যার ওপর আলো পড়লে জ্বল জ্বল করে প্রতিফলিত হয়। দুর্ঘটনার পর সহজে যেন খুঁজে পাওয়া যায় সে জন্য এই ব্যবস্থা। রং কালো না হওয়া সত্ত্বেও কেন ব্ল্যাক বক্স নাম হলো তার দুটি কারণ থাকতে পারে। হয়তো প্রথম দিকে এর রং সত্যিই কালো ছিল, সেখান থেকেই তার নাম ব্ল্যাক বক্স, পরে সুবিধার জন্য হয়তো উজ্জ্বল কমলা রঙের করা হয়েছে। আবার এমনও হতে পারে যে, প্রায় ক্ষেত্রে যেহেতু দুর্ঘটনার পর পুড়ে, দুমড়ে-মুচড়ে কালো রং ধারণ করে তাই এর নাম ব্ল্যাক বক্স হয়েছে।

২০১০ সালের ২২ মে। দুবাই থেকে আসা বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটির ম্যাঙ্গালোরে অবতরণ আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। কিন্তু সেই অবতরণেই আগে ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়ে গোটা বিমানটি। দুর্ঘটনা ঘটবে বুঝতে পেরে ফার্স্ট অফিসার ‘গো-অ্যারাউন্ড’ কল দিয়েছিলেন। এই কলে ল্যান্ডিং অ্যাবর্ট করে (অর্থাৎ অবতরণ না করে) এয়ারপোর্টের চারপাশে এক পাক খেতে হয়। তারপর ফের অবতরণের প্রস্তুতি নেওয়ার নিয়ম‌। ফার্স্ট অফিসারের কথায় কান দেননি ক্যাপ্টেন। অস্থিরভাবেই অবতরণের চেষ্টা করেন। বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে বেরিয়ে যায়। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে যায় এবং বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৬৬ জন যাত্রী এবং কর্মীদের মধ্যে ১৫৮ জন নিহত হন। মাত্র আটজন প্রাণে বাঁচেন। এটি ছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের প্রথম মারাত্মক দুর্ঘটনা।

১৯৭৮ সালের ১ জানুয়ারি। বোম্বে থেকে দুবাই যাচ্ছিল এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ৮৫৫। বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি টেক অফ করার দুই মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ভেঙে পড়ে সমুদ্রে। বান্দ্রা উপকূল থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে আরব সাগরে ভেঙে পড়ে গোটা বিমান। বিমানে থাকা ২১৩ জন যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন। দুর্ঘটনার তদন্তে দেখা যায়, যে, বিমানের একটি যন্ত্রের ব্যর্থতার কারণে ক্যাপ্টেন কিছুক্ষণের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে তিনি বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।

১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর। ভারতের দিল্লি থেকে সৌদি আরবের ধাহরান যাচ্ছিল বোয়িং ৭৪৭ এয়ারক্র্যাফটের সৌদিয়া ফ্লাইট ৭৬৩। অন্যদিকে কাজাখস্তানের চিমকেন্ট থেকে দিল্লি ফিরছিল কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১৯০৭। দিল্লির প্রায় ১০০ কিলোমিটার পশ্চিমে হরিয়ানার চরখি দাদরি শহরের উপর দুই ফ্লাইটের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় উভয় বিমানের ৩৪৯ জন যাত্রী নিহত হন। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক মিড-এয়ার (মধ্য-আকাশ) সংঘর্ষ বলে মনে করা হয়। এ যাবৎ ভারতে ঘটা সবচেয়ে মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ছিল এটি। তদন্তের পর জানা যায়, কাজাখের বিমান সঠিক উচ্চতা বজায় রাখতে পারেনি। তাদের ব্যর্থতার কারণেই এই সংঘর্ষ ঘটে। ইংরেজি ভাষার দুর্বলতার কারণে কাজাখ বিমানটি এটিসি (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল)-এর নির্দেশ বুঝতে পারেনি।

এবার আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কোনো কারণ পাওয়া যায়নি।‌ ব্ল্যাকবক্স ওপেন করা হলে প্রাথমিকভাবে জানা যেতে পারে বিমান দুর্ঘটনার কারণ। ‌ কিন্তু ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে গাফিলতির সঙ্গে সঙ্গে এর পিছনে নাশকতাও কাজ করছে। এর জন্য পড়শিদেশের চক্রান্তকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

News Hub