তীব্র দহনে নাজেহাল

দিল্লীর মৌসম ভবন কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল, এবার তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বিভিন্ন রাজ্যে,তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও ধরা আছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাবে, কারণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত নানাভাবে।

Written by SNS Kolkata | May 13, 2019 5:43 pm

প্রতীকী ছবি(Getty Images)

তীব্র দাবদাহে নাজেহাল মানুষ।বৈশাখের শেষেই দহন বেড়ে গেল জ্যৈষ্ঠ এখনও বাকি।দিল্লীর মৌসম ভবন কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল, এবার তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বিভিন্ন রাজ্যে,তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও ধরা আছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাবে, কারণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত নানাভাবে।সম্প্রতি ফণী বৃষ্টি দিল-সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কয়েক ধাপ নেমে গেল-তাপদাহে পীড়িত রাজ্যের মানুষ অনেকটাই স্বস্তি পেলেন।কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই তাপ আবার বৃদ্ধি পেতে থাকল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এই দাবদাহ আরও বেশ কয়েকদিন চলবে।তার মানে মানুষকে দুর্বিষহ গরমে আরও ভুগতে হবে। তাপবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আদ্রতাও বাড়ছে, যার জন্য ঘাম ঝরছে বেশি এবং মানুষ হাঁসফাস করছেন।

এই তীব্র গরমে পথচলতি মানুষ,ট্রেনে বাসের যাত্রীরা ছটফট করছেন।বিশেষ করে বয়স্ক যাত্রীদের কষ্টের শেষ নেই।এদিকে গরম যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও।বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে এখন কোনও অসুবিধে হচ্ছে না।কিন্তু কয়লা সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের কর্তারা।তাঁরা জানিয়েছেন,রাজ্যের সবকটা উৎপাদন কেন্দ্রের ইউনিটগুলি উৎপাদনমুখী।গত দুইদিন হল রাজ্যে এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে।দহন চললে বিদ্যুতের চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লে আর তা পুরণে কোনও অসুবিধে হবে না, যদি যান্ত্রিক কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়,তাহলে কেন্দ্রীয় বিদায় সংস্থাগুলি থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া হলে  মে মাসেই তের চাহিদা বাড়তে থাকলে বলে বিদ্যৎ কাদের । ধারণা । তত্র গরমের জন্য সরকারি এবং সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত সুলে গ্রীষ্মের ছুটি দেওয়া হয়েছে পুরাে দুমাস।স্কুলগুলি খুলবে ৩০ জুন অর্থ্যাৎ লম্বা ছুটি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক মহল আপত্তি জানালেও যেভাবে গরম দুঃসহ পর্যায়ে চলে এসেছে তার বিচারে এখন স্কুলে ক্লাস চালানাে সম্ভব নয়।কারণ ছাত্রছাত্রীরা এই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকছে।

শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের আশঙ্কা এই দীর্ঘ অবকাশের জন্য সিলেবাস শেষ হবে না,ফলে ছাত্রছাত্রীরা সঙ্কটে পড়বে।আবার ক্লাস বন্ধ থাকলেও,শিক্ষকদের প্রতিদিন স্কুলে এসে হাজিরা দিতে হবে,তা নিয়ে তাদের আপত্তি।যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে স্কুল শিক্ষা দফতরে ছুটির সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কোনও সম্ভাবনা এই মুহুর্তে দেখা যাচ্ছে না।তবে দীর্ঘ ছুটির ফলে ছাত্রদের পড়াশোনা ব্যাহত হবে, তা নিয়ে সন্দেহের জন্য অবকাশ নেই।

এই তীব্র দাবদাহেও ভোটের প্রচারে বিরাম নেই।সর্বভারতীয় নেতারা,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রতিদিন জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন,দলের হয়ে প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাইছেন।কিন্তু যাঁরা দহনে পর্যুদস্ত হয়ে সভাস্থল ভরিয়ে তুলছেন তাঁরা কষ্ট পাচ্ছেন।এখনও পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার ভোট বাকি।শেষ দফার ভোট ১৯মে।সুতরাং দাবদাহ উপেক্ষা করেই প্রচার চলবে।