• facebook
  • twitter
Thursday, 18 December, 2025

ভারতে ই-কমার্সের ভবিষ্যত ভাবনা

ঠিক কতখানি পাল্টে গেল দুনিয়া, যাতে শপিং মল বস্তুটিই এত দ্রুত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে বসল? গত দেড়-দুই দশকে ভারতীয় অর্থব্যবস্থায় আয় বেড়েছে অনেকখানিই, কিন্তু সে দিন যাঁদের হাতে টাকা ছিল না, দেশের আয়বৃদ্ধির ফলে তাঁদের বেশির ভাগের হাতে সেই অনুপাতে টাকা এসেছে, এমন কথা বলা যাবে না।

প্রতীকী চিত্র

শোভনলাল চক্রবর্তী

দেশে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে তবে কি হাওয়া উল্টো দিকে বইছে? ভারতের নেট বাজারে এক নামী বহুজাতিক সংস্থার একশো কোটি ডলার লগ্নির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সুরে যেন তেমনই ইঙ্গিত মিলল। দেশে কর্মসংস্থান এবং ক্রেতা কল্যাণের উপরে ই-কমার্সের প্রভাব নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশের সূত্রে বাণিজ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সংস্থাগুলির বিপুল ছাড় দিয়ে কম দামে ক্রেতা টানার নীতির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কয়েক কোটি খুচরো বিক্রেতা। তা ছাড়া, এই ক্ষেত্রের দ্রুত সম্প্রসারণ দেশে সামাজিক সমস্যাও তৈরি করছে। তাই সামগ্রিক ভাবে দেশে ই-কমার্সের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন তিনি। যদিও পরে নিজের বক্তব্য শুধরে বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি, সরকার ই-কমার্সের বিরুদ্ধে নয়, শুধু বাজারের প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বাণিজ্য সংস্থা তথা গ্রাহকদের সুযোগসুবিধার বিষয়ে চিন্তিত। তবে, মন্ত্রীর এ-হেন বক্তব্য উস্কে দিয়েছে ভারতের বাজারে ই-কমার্সের প্রভাব কী হতে পারে, সেই সংক্রান্ত দেড় দশকেরও পুরনো বিতর্ককে।
বিগত দেড় দশকে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে একাধিক অনলাইন খুচরো পণ্য সংস্থা ভারতের বাজারে জাঁকিয়ে বসেছে। আজ ইন্টারনেট ব্যবহার, স্মার্টফোন এবং ডিজিটাল লেনদেনের হাত ধরে জোয়ার এসেছে অনলাইন ব্যবসায়, বিশেষত অতিমারিকালে। গ্রাহকের বিবিধ পছন্দ আজ পূরণ করছে ই-কমার্স। ই-কমার্সের এত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার কারণ মূলত ক্রেতার সুবিধা, পণ্য একত্রীকরণের দক্ষতা এবং বিস্তর ছাড়ের মতো বৈশিষ্ট্য। বিস্তৃত সংযোগব্যবস্থা এবং পণ্য বণ্টনের সামর্থ্যের কারণে মফস্‌সল এবং গ্রামের ক্রেতারাও এখন বড় শহরের গ্রাহকদের মতো একই পণ্যের নাগাল পাচ্ছেন। অন্য দিকে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহু ক্ষুদ্র এবং মাঝারি সংস্থাও আজ তাদের পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছে। লক্ষণীয়, এক সমীক্ষা অনুসারে, ২০২২ সালে দেশের মোট খুচরো ব্যবসার আনুমানিক আট শতাংশ হল ই-কমার্সের অংশ, যা চিন (৪৪ শতাংশ) এবং আমেরিকা (১৮ শতাংশ)-র তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। এবং এই ক্ষেত্রের দ্রুত উন্নতি হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৩০ শতাংশ বা মোট খুচরো ব্যবসার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। ফলে চিরাচরিত মুদির দোকানের ব্যবসা অপূরণীয় ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার যে আশঙ্কা বাণিজ্যমন্ত্রী করেছেন, তা অনেকাংশেই অমূলক। তা ছাড়া, সমীক্ষার সূত্রে জানা গিয়েছে অনলাইন ব্যবসার ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশে রয়েছেন মেয়েরা। ফলে দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রে ই-কমার্স ক্ষতিকারক, এ কথা বলা অর্থহীন। বিপজ্জনকও বটে। আন্তর্জাতিক পুঁজি থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়ার বিপদ ভারত জানে। ইঙ্গিত স্পষ্ট— আগামী দিনে দেশের বাজারে বাড়তে চলেছে ই-কমার্সের প্রভাব। আরও গ্রাহক এবং বাণিজ্য সংস্থা এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেবে। ফলে সরকারের উচিত এই ক্ষেত্রের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি না করে বরং নজর রাখা যাতে কোনও সংস্থাই এখানে অনৈতিক কাজকর্মে লিপ্ত হতে না পারে। অতি ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যা খুবই জরুরি। বাজারে যাতে সুস্থ প্রতিযোগিতার আবহ বজায় থাকে, প্রয়োজনে নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে সেটাই নিশ্চিত করুক তারা। আগামী পাঁচ বছর ভারতে কুইক কমার্স (বা, চলতি ভাষায় কিউ-কমার্স) ক্ষেত্রটির বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। একটি বহুজাতিক সংস্থার গবেষণায় উঠে আসা এই তথ্যটিকে যদি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের মতো কেউ সাবেক মুদিখানা তথা ‘ভারতীয় সংস্কৃতি’র বিপন্নতার সূচক বলে মনে করেন, তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যেতে পারে যে, বার্ষিক ৭০ শতাংশ হারে বেড়ে পাঁচ বছর পরে এই ক্ষেত্রটি ভারতের খুচরো বিপণনের বাজারের পাঁচ শতাংশ দখল করবে। কারণ, এই মুহূর্তে ক্ষেত্রটির দখলে আছে মোট খুচরো বাজারের মাত্র ০.২%। এ তথ্যটিকে অবশ্য দু’ভাবে দেখা যায়— কেউ বলতে পারেন যে, ‘মাত্র দশ মিনিট’-এ বাড়িতে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার এই বাণিজ্যিক মডেলটি এখনও ভারতীয় বাজারে দাঁত ফোটাতেই পারেনি; কেউ আবার বলতে পারেন, এই ক্ষেত্রটির সামনে জয় করার জন্য পড়ে আছে বিপুল বাজার। সংস্থাগুলি যে ‘হাইপারলোকাল’ মডেলে ব্যবসা করে, তাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সাবেক মুদিখানার চেয়ে কম, সে কথা ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং, এই ক্ষেত্রটির হাত ধরে ‘মুদিখানায় কর্মসংস্থান’ নামক পেশাটি সংগঠিত হয়ে উঠতে পারে— তার জন্য অবশ্য রাজনৈতিক কল্পনাশক্তির প্রয়োজন হবে।

Advertisement

এই মডেলে কর্মসংস্থানের চরিত্রে লিঙ্গবৈষম্যও তুলনায় কম হওয়ারই কথা— পাড়ার মুদিখানায় সহজে মহিলা-কর্মীর দেখা মেলে কি? অতএব, কিউ-কমার্সের উল্কাগতিতে উত্থানকে সন্দেহের চোখে দেখার কারণ নেই। অর্থনীতিও নদীর মতো, তার বেগ আটকানো কঠিন। বরং ভাবা প্রয়োজন, এই প্রবাহকে সমাজের পক্ষে সবচেয়ে লাভজনক ভাবে কোন পথে ব্যবহার করা সম্ভব।কিউ-কমার্সের ব্যবসায়িক মডেল দাঁড়িয়ে আছে ‘ডার্ক স্টোর’ নামক একটি ধারণাকে কেন্দ্র করে। প্রতি দুই থেকে তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধের কেন্দ্রে রয়েছে এক-একটি ডার্ক স্টোর, যেখানে মজুত থাকে সব ধরনের পণ্য— ওই দু’তিন কিলোমিটার ব্যাসার্ধ থেকে যত অর্ডার আসে, তা পূরণ করা হয় সেই ডার্ক স্টোর থেকে। সে কারণেই অর্ডার দেওয়ার পর অতি অল্প সময়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। অন্য দিকে, ডার্ক স্টোরের জন্য এমন লোকালয় প্রয়োজন, যার দু’তিন কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে থেকেই যথেষ্ট অর্ডার আসতে পারে— একটি ন্যূনতম পরিমাণ অর্ডার না এলে ডার্ক স্টোর তৈরি করা লাভজনক হয় না। সে কারণেই এখনও কিউ-কমার্সের ব্যবসা মূলত বড় শহরগুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই শহরগুলিতে এখনও যত চাহিদা এবং ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে, তা কিউ-কমার্সের আগামী কয়েক বছরের বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, সংস্থাগুলিও জানে যে, সেই বৃদ্ধির একটি সীমা রয়েছে— তাকে অতিক্রম করতে হলে বড় শহরের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছতে হবে মাঝারি ও ছোট শহরে। সে পরিকল্পনা নিশ্চয়ই রয়েছে, কিন্তু তা রূপায়ণের জন্য সেই শহরাঞ্চল গুলিতে ক্রয়ক্ষমতার সার্বিক বৃদ্ধি প্রয়োজন। তার জন্য প্রয়োজন সুষম আর্থিক বৃদ্ধি। এই দিক থেকে দেখলে, কিউ-কমার্সের বৃদ্ধি এবং বিস্তৃতি ভারতীয় অর্থব্যবস্থার সুষম বৃদ্ধির একটি মাপকাঠি হিসাবে গণ্য হতে পারে। ব্যক্তি-স্তরে অসাম্য হ্রাসের হিসাব তাতে না মিললেও আঞ্চলিক অসাম্যের একটা আন্দাজ পাওয়া সম্ভব হবে।আজ থেকে দেড়-দু’দশক আগে, ভারতে যখন শপিং মল পর্বের উত্থান ঘটছে, তখন বৃহৎ খুচরো বিপণনের এক পুরোধাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন অনেক লোকই তো আছেন, যাঁরা মলে যান শুধুমাত্র সময় কাটাতে, কিছু কেনাকাটা করেন না। তাঁরা কি আপনার বিরক্তি উৎপাদন করেন? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, একেবারেই না, বরং তাঁরা এই রিটেল ব্যবসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আজ তাঁদের কাছে খরচ করার মতো টাকা নেই, কিন্তু কাল থাকবে— তখন তাঁরা ফিরে আসবেন এই মলেই। আজ যা কিনতে পারেননি, কাল তা কিনবেন; সঙ্গে আরও অনেক কিছু কিনবেন। এই কথাটির মধ্যে নিহিত আছে একটি বিশ্বাস— আজ যাঁর হাতে যথেষ্ট টাকা নেই, কাল তাঁর হাতেও সেই টাকা থাকবে; অর্থাৎ, অর্থব্যবস্থা একটা ধারাবাহিক প্রগতির মধ্যে দিয়ে যাবে। আজ যখন ভারতে ‘মৃত শপিং মল’-এর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, ক্রেতার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক দোকান, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন করতে হয়, দু’দশক আগের সেই বিশ্বাসটিতে কতখানি ভুল ছিল?

Advertisement

ঠিক কতখানি পাল্টে গেল দুনিয়া, যাতে শপিং মল বস্তুটিই এত দ্রুত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে বসল? গত দেড়-দুই দশকে ভারতীয় অর্থব্যবস্থায় আয় বেড়েছে অনেকখানিই, কিন্তু সে দিন যাঁদের হাতে টাকা ছিল না, দেশের আয়বৃদ্ধির ফলে তাঁদের বেশির ভাগের হাতে সেই অনুপাতে টাকা এসেছে, এমন কথা বলা যাবে না। কারণ, ভারতে আয়বৃদ্ধি হয়েছে অসম— জনসংখ্যার একটি ছোট অংশের হাতে বিপুল পরিমাণ টাকা বেড়েছে; সিংহভাগের বেড়েছে ছিটেফোঁটা, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে প্রকৃত আয় হ্রাসও পেয়েছে। শপিং মলে মানুষ যে টাকা খরচ করেন, সেটি বিশুদ্ধ কনজ়াম্পশন এক্সপেন্ডিচার বা ভোগব্যয়। সেই ব্যয়ের একটা নির্দিষ্ট চরিত্র আছে— আয়বৃদ্ধির সঙ্গে প্রথমে ভোগব্যয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে; তার পর, বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে ভোগব্যয়ের পরিমাণ আয়ের অনুপাতে হ্রাস পায়। সেই পণ্যগুলিকে বলা হয় স্বাভাবিক পণ্য— শপিং মলে সচরাচর যে সব পণ্য পাওয়া যায়। অতি উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রে যেখানে ভোগব্যয় বাড়ে, তা হল লাক্সারি গুড বা বিলাস পণ্য। তার বিপণি বহুলাংশে আলাদা। যে-হেতু সিংহভাগ মানুষের প্রকৃত আয় বাড়েনি, তাঁদের ভোগব্যয়ের পরিমাণও যথেষ্ট বাড়তে পারেনি। সব মিলিয়ে, শপিং মলগুলি ক্রমে জনশূন্য হয়েছে।

আর্থিক অসাম্যের এ এক অনিবার্য ফল— শেষ অবধি তা অর্থব্যবস্থার স্বাস্থ্যহানি ঘটাতে থাকে। ২০১৫ সালের পর থেকে, ২০২১-এর ব্যতিক্রমী বছরটিকে বাদ রাখলে, প্রতি অর্থবর্ষেই ভোগব্যয়ের বৃদ্ধির হার তার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় কম ছিল, এই তথ্যটির তাৎপর্য উপলব্ধি করা প্রয়োজন।মধ্যবিত্তের আর্থিক স্বাস্থ্যভঙ্গ ভারতের মতো কিছু দেশের ক্ষেত্রে কঠোর বাস্তব। পাশাপাশি অন্য একটি বৈশ্বিক প্রবণতাও অনস্বীকার্য হয়েছে গত এক দশকে— ই-কমার্স বা অনলাইন বিপণি সর্বত্রব্যাপী হয়েছে। শপিং মল এখন আক্ষরিক অর্থেই ক্রেতার হাতের মুঠোয়— ফোনের অ্যাপ খুললেই কিনে ফেলা সম্ভব প্রয়োজনীয় এবং অবান্তর যাবতীয় সামগ্রী। সেই ব্যবসা চরিত্রগত ভাবেই ইট-কাঠের তৈরি দোকান বা শপিং মলের চেয়ে পৃথক— তার জোগান-শৃঙ্খল আলাদা, ব্যয়ের চরিত্রও আলাদা। ফলে, ই-কমার্সের পক্ষে এমন ছাড় দেওয়া সম্ভব, যা সাধারণ দোকান বা শপিং মলে অকল্পনীয়। গ্রাহকের কাছে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বিকল্প গ্রহণযোগ্য হয়েছে— বাড়িতে বসে তুলনায় কম দামে কেনাকাটা করতে পারলে কে আর শপিং মলে যেতে চায়!

গত কয়েক বছরে তৈরি হয়েছে কিউ-কমার্সও, যাতে মাত্র কয়েক মিনিটে বাড়িতে পৌঁছে যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। সব মিলিয়ে, যাঁদের ক্রয়ক্ষমতা রয়েছে, তাঁদের একটা বড় অংশ শপিং মল ছেড়ে হাত বাড়িয়েছেন অনলাইন কেনাকাটার দুনিয়ায়। এখানে একটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন— অনলাইন কেনাকাটা কিন্তু পাড়ার মুদিখানার উপর তেমন সর্বগ্রাসী প্রভাব ফেলতে পারেনি এখনও। পাড়ার দোকানের সঙ্গে অধিকাংশ ক্রেতার সংযোগটি মানবিক, কেবলমাত্র লেনদেনের নয়। অনেকেই সেই সম্পর্ক ছাড়তে নারাজ। অন্য দিকে, সেই মানবিক সম্পর্কের জোরেই, পাড়ার মুদিখানায় বহু লেনদেন চলে বাকিতে— কোনও প্রাতিষ্ঠানিক ঋণদাতা সংস্থা ছাড়া, ক্রেডিট কার্ড ছাড়া, বন্ধক ছাড়া। যাঁদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা ক্রমহ্রাসমান, অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী না কিনেও উপায় নেই, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থার কোনও বিকল্প হয় কি?

Advertisement