• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

বাঙালির ভাষা

একি তুমিকোন মানুষ যে কটক পাঁচনীকরএ অঞ্চলের উপর এ তোমার কি প্রকার ইতর বিবেচনা কোথা শুনিয়াছ শুনি আহারে শার্দ্দুল স্থকিত হও।

ফাইল চিত্র

শ্রী সুকুমার সেন

পূর্ব প্রকাশিতর পর

আরো পূর্ব্বদৃষ্টে জানাগেল জেকালে দুর্মূল্য হয় সেকালে পুষ্করণিখাতকরণ ও পুলবন্দী প্রভৃতি হওন সে নিমিত্তত সকল কার্য্য কর্ত্তব্য তাহা করণের ক্ষমতা সকল ভূম্যাধিকারি ও চাসি লোকে রাখে এমত উদ্যোগ হয়, ইহাতে অনেক পুষ্করনিতে পূর্ব্ব বৃষ্টীর জল থাকে তাহাতে অনাবৃষ্টী সমএ সস্য রক্ষা পায় গুলবন্দী হওনের লাভ এই জে অতিবৃষ্টীতে ধৌত বর্নিয়া হইলে সে জল ভূমিতে প্রবেশ করিতে না পারিয়া নির্বিঘ্নে সস্য জন্মে জদিস্যাৎ এমত উদ্যোগ করিলে ঁদৈবযোগে মধ্যে ২ স্থানে ২ অল্পবিস্তর ক্ষতি হইতেপারে, কিন্তু এককালীন সর্ব্বত্রে আপদ উপস্থিত না হইলে স্থান বিশেষে শস্যের হানি ও কোন স্থানে শস্যের কল্যাণ দর্শনে তৎকালে যে স্থানে শুন্দর শশ্য জন্মে তথাকার আমদানিতে আপদ্গ্রস্থ স্থানের উৎপাত মোচন হইতেপারে অতএব যে চাসকর্ম্মের আধিক্যে সর্ব্বত্রে সকল সামগ্রী যদেষ্ট জন্মিতে পারে তাহার কুশল চেষ্টা সকল কর্ম্মের অগ্রে সরকারের কর্ত্তব্য হইয়াছে এদদ্ভিন্ন সিদ্দার্থে অর্থাৎ চসকৃয়ার আধ্যিকাধিন দেশের আবাদ সে নিমিত্ত যাবন্ত উদযোগের মূল এই উদ্যোগ। একত্র এই জেন ভুম্যাধিকারি দির্গ্যের ভূমির অধিকারিত্ত স্বত্ত অর্পন করা হইল।
লেখক— হেনরি পিট্স ফরস্টার

অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর সন্ধিকাল : গদ্য (স্বাধীন রচনা ১৮০১)
ক. পরে রাজা বিক্রমাদিত্য ও বসন্তরায় ও প্রতাপাদিত্য তিন জন এক নিভৃত স্থানে যাইয়া বসিলে রাজা বিক্রমাদিত্য জিজ্ঞাসা করিলেন পুত্র কি সমাচার আসিবা মাত্রেই কিমার্থে এমত আচরণ করিলা। আমরা তোমাকে বিদেশে পাঠাইয়া কেবল ছায়ার ন্যায় রহিয়াছি তোমার আইসনে বন্দুকের দেহড় শ্রবণ মাত্রেই শরীর পুলকিত হইয়াছিল পরে তোমার এমত২ আচরণে আমারদের ক্ষোভের আর পরিসীমা ছিল না এখন তোমার মুখ দেখিয়া সীমাহ নাই। ইনি সদাই নিরানন্দ কোন কার্য্যেআমদ নাই ইহার পূর্ব্বমত আহার নিদ্রা নাই তোমার বিচ্ছেদে ইনি অতিশয় ক্ষিদ্যমান। আমি তোমাকে যত্নপূর্ব্বক পাঠাইয়াছিলাম ইহাতে ইনি ররিষ মনে আমারসহিত আলাপ করেন না। এই পর্য্যন্ত শোকিত। অতএব পুত্র তোমার বিবরণ অবগত কর আমাকে তবে প্রাণ স্থির হয় নতুবা আমি যথেষ্ট উৎকণ্ঠিত।
লেখক—রামরাম বসু

অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর সন্ধিকাল: গদ্য (স্বাধীন রচনা ১৮০২)
খ. একি তুমি কোন মানুষ যে কটক পাঁচনীকরএ অঞ্চলের উপর এ তোমার কি প্রকার ইতর বিবেচনা কোথা শুনিয়াছ শুনি আহারে শার্দ্দুল স্থকিত হও। এ সামান্য বিষয় প্রযুক্ত এখানকার কোপের বাহুল্য হয় না শৃগালের গর্জ্জনে কেশরী নাহি রোষে যদিতু হইল তবে তোমার কি গতিক হইবে কোথায় যাইবা তোমার সহায় বা কে এবং রক্ষাবা কে করিতে পারে। এখানকার ক্রোধ যদি হয় তবে প্রতি ইন্দ্র সখা করিলে ও না পাবে রক্ষা বৈরিদস্য কেনা মোর যদ্যপিত কোপে সসৈন্যেতে সংহার করিবে।

লেখক—রামরাম বসু

অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীর সন্ধিকাল : গদ্য (গল্প কথা ১৮১২)
গ. কোনো এক নগরে এক ঘাটের উপর এক ব্রাহ্মণ একশত টাকার এক তোড়া বস্ত্রে বান্ধিয়া স্নান করিতে জলে নামিলে পর ডুব দিয়া উঠিয়া দেখে আপন বস্ত্রে তঙ্কার তোড়া নাই। ইহাতে বড় দুঃখী হইয়া ঐ স্থানের বিচারকর্তার স্থানে নিবেদন করিলে তিনি আপন অন্তঃকরণ বিবেচনা করিয়া আজ্ঞা করিয়া দিলেন— ‘যে স্থানে ব্রাহ্মণ তঙ্কার তোড়া রাখিয়া ছিলেন সে স্থানে পেয়াদারা ঘিরিয়া থাকহ এবং তথা কোড়া ক্ষেপণ করহ।’ তারপরে তাহারা সেইমত করিলে যে সে টাকা লইয়াছে সে একজন ভারি জলবহা গোয়ালা সেই স্থানে আসিয়া বলিল যে তোমরা এই স্থানে কোড়া মারিলে কি তোমাদের টাকা পাইবা? তখন পেয়াদারা বলিল, ‘আমরা টাকা পাইবার ফিকির করিতেছি তুই কিমতে জ্ঞাত হইলি।’ এই কহিয়া তাহাতে কর্তার সাক্ষাৎ লইয়া প্রহার করিলে গোপ সে টাকা ফিরিয়া দিল।

(ক্রমশ)