• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

যত কান্ড কাঠমান্ডুতে : এখন সারা পৃথিবীর নজর সেদিকে

সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা স্থায়ী সেনাশাসনে যেতে প্রস্তুত নয়। নেপালের সংস্কৃতির সঙ্গে এখানে পাকিস্তানের সংস্কৃতির অনেকটাই তফাৎ।

ফাইল চিত্র

শোভনলাল চক্রবর্তী

যখন ভারতে প্রথম লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, ঠিক সেই সময়ে নেপালে রাজাদের বংশানুক্রমিক শাসন ক্ষমতাচ্যুত হলো। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলো। তার পরেও নেপালের অস্থিরতা থামেনি। ’৬১ সালে নেপালের রাজা মহেন্দ্র সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পঞ্চায়েত নামে এক নয়া ক্ষমতাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ’৯০ সালে জনগণের আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। রাজা বীরেন্দ্র দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা বাতিল করতে বাধ্য হন। ’৯৬ সালে শুরু হয়ে যায় মাওবাদীদের হিংসাত্মক বিদ্রোহ। ২০০৮-এ রাজতন্ত্র সম্পূর্ণ অবলুপ্ত হয়। আর ২০১৫-তে নতুন সংবিধান রচনা করে কেপি শর্মা ওলি ক্ষমতাসীন হন।মাত্র কয়েক মাস আগে ফেসবুকে দেখা গেল একটা নতুন অ্যাকাউন্ট চালু হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের নাম ‘নেক্সট জেনারেশন নেপাল’। এই পাতায় নেপালের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে একের পর এক পোস্ট দেওয়া হতে লাগল। ক্রমশ এই পোস্টগুলি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল কাঠমান্ডুর সমাজজীবনে। রাস্তায় নামল যুবসমাজ। ১৯৯৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে যারা জন্মেছে, তাদেরই তো বলা হয় ‘জেন-জ়ি’। এত কম বয়সের রাগ, হতাশা, অসন্তোষ আছড়ে পড়ল নেপালের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে। যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা মূলত প্রবীণ। নবীন প্রজন্মের প্রতিনিধির সংখ্যা কাঠমান্ডুর তখ্‌তে খুবই কম।এই আন্দোলন যখন চরমে ওঠে, তখনই সরকার ২৫টা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, এক্স-হ্যান্ডল, ইয়ুটিউব, সমস্ত কিছু শাসকরা বন্ধ করে দেয়। আর এই ডিজিটাল নিষেধাজ্ঞা ঘৃতাহুতি দেয় এই শাসক-বিরোধী আন্দোলনে। হতাশা এমন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে যে, মারমুখী হয়ে ওঠে যুবসমাজ। পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হয়। দমন-পীড়ন আরও বেড়ে যায়। আর সব শেষে প্রতিবাদকারীরা ঘোষণা করে, সংসদ ভবনের সামনে তারা একটা বড় জনসভা করবে। কিন্তু সেই জনসভা করার অনুমতি ওলি সরকার দেয়নি। তাতে এই আন্দোলন একটা চরম জায়গায় গিয়ে পৌঁছয়।কিন্তু নেপালে এই ঘটনা শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য হয়েছে, এমন নয়। অন্তত তিনটি কারণ নেপালের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে হয়।

Advertisement

প্রথমত, দেশের আর্থিক অবস্থার দ্রুত অবনতি। নেপালের ধনীরা ক্রমাগত আরও ধনী হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, সামরিক শাসক এবং অভিজাততন্ত্র চূড়ান্ত বিলাসিতার জীবন যাপনে অভ্যস্ত। আর অন্য দিকে নেপালের আমজনতা অপরিসীম দারিদ্র্যের মুখোমুখি। এই আর্থিক দুরবস্থাই একটা অসন্তোষের আবহাওয়া তৈরি করেছে। এই অসন্তোষে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হলো কিন্তু ‘জেন-জ়ি’।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। সেটাই পরে হয়ে যায় দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন। দেশের রাজনৈতিক দলগুলি এবং তাদের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞদের মতে এই ক্ষোভ একদিনে তৈরি হয়নি। নেপালে রাজতন্ত্র সরিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে গণতন্ত্রের। মূলত নেপালের কমিউনিস্ট দলগুলির হাত ধরে তা উত্থান। পরে নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট দলগুলি কাছাকাছি এসে সরকারও গড়েছে। তারপরে অনেকগুলি বছর কেটে গেলেও, নেপালের জনসাধারণের সামগ্রিক উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ।কাজের সুযোগ, রোজগার থেকে শুরু আরও একাধিক বিষয়ে অসন্তোষ ছড়িয়েছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। নেপালের সাধারণ নাগরিকদের একটি বড় অংশকে নিত্যদিন বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। সেখানেই সম্পূর্ণ অন্য জগতে ছিলেন সে দেশের রাজনৈতিক নেতারা এবং তাঁদের সন্তানরা। এই আন্দোলনেই একটি শব্দবন্ধ শোনা গিয়েছে— ‘নেপো কিডস’। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের অবস্থার উন্নতি না হলেও ওই ‘নেপো কিডস’দের জীবন, প্রাচুর্য, সম্পদ এবং জীবনযাত্রার মান চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। এদের মধ্যে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও অ্যাক্টিভ ছিলেন। নিত্যদিন বিদেশভ্রমণ, দামি পোশাক-ব্যাগ-ঘড়ি, বিলাসবহুল গাড়ির ছবি শেয়ার করতেন তাঁরা। ফলে তাঁদের জীবনযাত্রার মানের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জন্মেছিল তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এখন দেখা যাচ্ছে এই ‘নেপো কিডস’দের ভোগবিলাস। দ্বিতীয়ত, ওলির রাজনৈতিক কর্তৃত্বের অদূরদর্শিতা।দার্শনিক ম্যাকিয়াভেলি-র বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ ‘দ্য প্রিন্স’। ১৫৩২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত এই বইতে তিনি লিখেছিলেন, বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রে শাসক পরিবারের অধীনে থাকতে থাকতে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই পুরুষানুক্রমিক রাজতন্ত্র রক্ষা করা সহজতর। কিন্তু সমস্যা দেখা যায় নতুন রাজত্বের ক্ষেত্রে। সময়ের বদলের সঙ্গে সঙ্গে যখন নাগরিক শাসনতন্ত্র প্রয়োজন, তখন নতুন রাজত্ব স্থাপন হলে দেখা যায়, মানুষ শাসককে বদলানোর চেষ্টা করে। এমনকী অস্ত্র তুলে নিতেও পিছপা হয় না। নেপালের পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত হয়ে ভাবতেই হয় যে,কত যুগ আগে ম্যাকিয়াভেলি লিখেছিলেন এ সব কথা! রাজত্ব বিপদে পড়ে যখন সাধারণতন্ত্রের শাসক কতিপয় অভিজাতের সমর্থন নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে যায়। তাঁর উপদেশ ছিল, বিচক্ষণ শাসককে এমন পন্থা নিতে হবে, যাতে তিনি যা-ই করুন না কেন জনগণ সব সময়ে যেন শাসকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।ম্যাকিয়াভেলিকে আবার স্মরণ করেই বলি, রাজতন্ত্রের বদলে অলি সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর জমানায় রাজনৈতিক ব্যভিচার ও স্বৈরতন্ত্র নির্বাচনী গণতন্ত্রের নামাবলী গায়ে দিয়ে আরও ভয়াবহ চেহারা নেয়। আর যত অসন্তোষ বেড়েছে, ওলি নিজেকে তত শক্তিশালী নেতা প্রতিপন্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমনটাই হয়তো হয়। যুগে যুগে, সমাজে সমাজে এমন দৃশ্য দেখা যায়। যখন মানুষের অসন্তোষ বাড়ে তখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে যেনতেন প্রকারে আরও বেশি দুর্বিনীত হয়ে শাসক বাহুবলী হওয়ার চেষ্টা করে। আর সেই কারণেই আলাপ আলোচনার পথে‌ না গিয়ে, নিষেধাজ্ঞা জারি করে, গ্রেপ্তারির ফোয়ারা ছুটিয়ে, সামরিক এবং পুলিশ বাহিনী দিয়ে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার চেষ্টা করেছিলেন ওলি। আর সেটা হয়ে গেল বুমেরাং।তৃতীয় যে কারণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেটা হলো চিনের হাতে অতিরিক্ত তামাক সেবন। নেপালকে চিরকালই ভারত এবং চিনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলতে হয়। ভারতের সঙ্গে নেপালের বন্ধুত্ব সুপ্রাচীন। নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে ওলি নতুন সংবিধান রচনা করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, এবং নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে।

নেপাল পৃথিবীর একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র। সেই কারণে বিজেপি নেপালে গিয়ে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রচারে নেমে পড়েছিল। উত্তরপ্রদেশে‌র মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ব্যাপারে মোদীর চেয়ে কয়েক ধাপ বেশি এগিয়ে গিয়েছিলেন। কাঠমান্ডুতে গিয়ে তিনি রীতিমতো হিন্দু সন্ন্যাসীর প্রচার-অভিযান চালিয়ে ভেবেছিলেন তার রাজনৈতিক ফায়দা পাবেন উত্তরপ্রদেশে। বিশেষত তাঁর নিজের কেন্দ্র, নেপালের সীমান্তবর্তী গোরখপুরের মুখিয়া, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভেবেছিলেন,তাতে ষোলো আনার উপর আঠারো আনা লাভ পাবেন। কিন্তু নেপালের আধুনিক যুবসমাজে যে এখন হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রের চেয়ে চাকরি, ভবিষ্যৎ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বুঝতেও‌ কিছুটা ভুল হয়েছিল ভারতের বর্তমান শাসক দলের। নেপালে এতে চিনা প্রভাব আরও বেড়েছে।চিনা প্রভাব ঠেকাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকে সক্রিয়, এমন একটা ধারণা অনেক বিশিষ্ট কূটনীতিবিদদের মধ্যে রয়েছে। এমনকী এই ঘটনার পর কোনও কোনও মহল থেকে এই কথা বলা হচ্ছে যে, কী ভাবে এত অল্পবয়সিরা এত সুপরিকল্পিত ভাবে একটা আন্দোলনকে আক্রমণের জায়গায় নিয়ে যেতে পারে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে পারে, কী ভাবে তাদের হাতে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র দেখা গেল, কী ভাবে তাদের আক্রমণের প্যাটার্নের মধ্যে মাওবাদী আক্রমণের সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে ইত্যাদি। এ সবই তদন্তসাপেক্ষ।এই ঘটনায় ‘ডিপ স্টেট’-এর ভূমিকা কতটা, তা নিয়ে গুজব চলতে পারে। তবে প্রমাণ ছাড়া এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।তবে এটা বলা যায়, নেপালের এই পরিস্থিতিতে আপাতত সেনাবাহিনীর ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।

তবে সেনাবাহিনী জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা স্থায়ী সেনাশাসনে যেতে প্রস্তুত নয়। নেপালের সংস্কৃতির সঙ্গে এখানে পাকিস্তানের সংস্কৃতির অনেকটাই তফাৎ। সেনাবাহিনী জানিয়েছিল যে, রাজনৈতিক দলগুলিকে বসিয়ে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবে। তার পর হবে নির্বাচন।তার দিনক্ষণ ইতিমধ্যেই ঘোষিত। কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহের বয়স তিরিশের কোঠায়। রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টির নেতা রবি লামিছানে একজন জনপ্রিয় প্রাক্তন টিভি অ্যাঙ্কর। তাঁরা এই নবীন প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছেন।‌ এর পাশাপাশি রাজতন্ত্রের সপক্ষে থাকা রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র পার্টির সব সংসদ সদস্য ইস্তফা দিয়ে ওলি শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়েছে। কিন্তু তাদের সবাইকে পিছনে ফেলে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধান হিসেবে উঠে এসেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র নেপালের মানুষের কাছে শান্তি ফিরিয়ে আনার আবেদন জানিয়েছেন। অনেকে মনে করছেন, তিনিও এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে উদ্যত। ভারতের জন্য পরিস্থিতি যে জটিল, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে কতটা নিরাপদে থাকতে পারে? আর যদি নেপাল আমেরিকা এবং চিনের রাজনৈতিক দ্বৈরথেরও শিকার হয়, তবে তার থেকে ভারত যে রাজনৈতিক ফায়দা পাবেই, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। বরং ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর শুল্ক যুদ্ধে যখন গোটা পৃথিবী উথালপাথাল, তার মধ্যে নেপালের এই সংকট একটা বাড়তি কূটনৈতিক বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কাজেই শ্যেনদৃষ্টিতে কাঠমান্ডুর দিকে নজর রাখতেই হচ্ছে।এই অবস্থায় নেপালের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন বর্তমানে চিন-বান্ধব সরকারের পতনের পরে নেপালে খুব তাড়াতাড়ি একটি আমেরিকা-বান্ধব ‘রাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ঠিক শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের কায়দাতেই।সন্দেহের জন্ম দিচ্ছে নেপালে এই অস্থিরতার সময়ও। ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক এখন তলানিতে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরের শেষেই ভারত সফরে আসার কথা চলছিল ওলির। ঠিক সেই সময়েই এই রাজনৈতিক পালাবদল ঘটল।সব মিলিয়ে যত কাণ্ড কাঠমান্ডু’র দিকে এখন সারা পৃথিবীর নজর থাকছে।

Advertisement