• facebook
  • twitter
Monday, 12 May, 2025

জীবনতলার কার্তুজ কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও এক, তদন্তে নয়া মোড়

ধৃত দালালরা বিবাদী বাগের অস্ত্র বিপণি থেকে ১৯০টি ৭.৬৫ এমএম কার্তুজ, ৯টি ১২ বোর কার্তুজ ও একটি দোনলা বন্দুক সংগ্রহ করেছিল।

জীবনতলার কার্তুজ কাণ্ডে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। চম্পাহাটিতে ধৃত শান্তনু সরকার কলকাতার বিবাদী বাগের একটি অস্ত্র বিপণির কর্মী। অভিযোগ, সে বেআইনি বন্দুক পাচারের সঙ্গে জড়িত। তদন্তকারীদের দাবি, শান্তনু এর আগে ধৃত হাজি রশিদের কাছে বন্দুক বিক্রি করত। এর আগে, একই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জয়ন্ত দত্তকে জেরা করে শান্তনুর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঈশ্বরীপুরে অভিযান চালিয়ে এসটিএফ ১৯৯ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। ধৃতদের মধ্যে হাজি রশিদ মোল্লার কাছ থেকে ফারুক নামে এক ব্যক্তি একটি দোনলা বন্দুক ও চারটি বুলেট কিনেছিল বলে জানা গেছে। শনিবার, উদ্ধার হওয়া কার্তুজের সূত্র ধরে কলকাতার বিবাদী বাগের একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের দোকানে তল্লাশি চালায় এসটিএফ। ঘটনার তদন্তে নেমে এসটিএফের অনুমান, কলকাতার একাধিক অস্ত্র বিপণির কর্মচারী বেআইনি অস্ত্র ও কার্তুজ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। দালালদের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র কারখানাগুলিতে বিপুল পরিমাণে বুলেট সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ধৃত দালালরা বিবাদী বাগের অস্ত্র বিপণি থেকে ১৯০টি ৭.৬৫ এমএম কার্তুজ, ৯টি ১২ বোর কার্তুজ ও একটি দোনলা বন্দুক সংগ্রহ করেছিল। বিহার ও উত্তরপ্রদেশের বাজারে দোনলা বন্দুকের বিপুল চাহিদা থাকায় সেগুলি পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই এসটিএফ ওই অস্ত্র বিপণির গত পাঁচ বছরের স্টক খতিয়ে দেখছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দোকানের বেশ কিছু রেজিস্টারও। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, শেষ কবে কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্স ওই দোকানের স্টক যাচাই করেছিল। প্রয়োজনে এই বিষয়ে রাজ্য এসটিএফ কলকাতা পুলিশকে চিঠি পাঠাতে পারে বলেও খবর সূত্রের।