সারা রাজ্য চালকল শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিদ্যুৎ মাশুল কমানোর দাবি উঠলো আরও একবার। বর্ধমান শহরের অদূরে একটি অভিজাত হোটেলে বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন এর ৮০ তম বার্ষিক সাধারণ সভা থেকে ওই দাবি তোলা হলো। আয়োজিত এই সভায় সারা পশ্চিমবঙ্গের ২১টা জেলা থেকে ২৫৬ জন প্রতিনিধি ভিত্তিতে অংশ গ্রহণ করেন। এদিনের সভা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে ৩১ জনের স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়েছে। নবনির্বাচিত কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন দেবনাথ মন্ডল, মুখ্য উপাদেষ্টা দীপক প্রামাণিক, সভাপতি আব্দুল মালেক, কার্যকরী সভাপতি সঞ্জীব মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক জয় মারোঠি, কোষাধ্যক্ষ অরুণ গোয়েঙ্কা। এছাড়া কমিটিতে সহ সভাপতি ১৩ জন, যুগ্ম সম্পাদক ৮ জন এবং সহ কোষাধ্যক্ষ ৪ জন রয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন এর নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের ১১০০ চালকল মালিক সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিরা এদিনের সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাইস মিল শিল্পের উন্নয়নে সংগঠন অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে কাজ করবে। সাধারণ সভায় সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে সরকারকে সব রকমের সহযোগিতার কথা বলা হয়। জানানো হয় রাইস মিলের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা আছে ৬৮ লক্ষ মেট্রিক টন।
সেখানে ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে নব নির্বাচিত সভাপতি কলকাতার রাজারহাটে বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে বেঙ্গল রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনের গ্র্যান্ড হোস্টিং সফল ভাবে হয়েছে বলে দাবি করেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একধিক দাবি তুলে ধরার পর বেশিরভাগই পূরন হয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সাধারণ সভার মঞ্চ থেকেই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় হয়। বিশেষ করে বানিজ্য কর তুলে নেওয়ায় চালকল গুলোর রুগ্নতা অনেকটাই কাটানো গেছে বলে দাবি করা হয়। তবে বিদ্যুৎ মাশুল নিয়ে আর একবার সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস মিলেছে। সাধারণ সভায় অনেক বিষয়ে বাকবিতণ্ডা হলেও শেষ পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এদিনের সাধারণ সভা আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় ছিল বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট রাইস মিলস অ্যাসোসিয়েশন।