শিখ দাঙ্গা নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে এফআইআর

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ পোস্ট করার অভিযোগে আগেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেসের যুব সংগঠন।

Written by SNS Mumbai | November 22, 2021 5:38 pm

কঙ্গনা রানাওয়াত (Photo: IANS)

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ পোস্ট করার অভিযোগে আগেই অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিল কংগ্রেসের যুব সংগঠন। রবিবার তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির মন্দির মার্গ থানায় অভিযোগ করল একটি শিখ সংগঠনও।

তাদের বক্তব্য, কঙ্গনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কৃষক আন্দোলনকে খলিস্তানিদের কাজ বলে দাবি করেছেন। সামগ্রিকভাবে শিখ সম্প্রদায়কেই তিনি খলিস্তানি জঙ্গি হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ১৯৮৪ সালের শিখবিরোধী দাঙ্গার ছক কষেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং। অভিযোগ, এর আগেও শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী। পুলিশের কাছে শিখ সংগঠন অনুরোধ করছে, কঙ্গনার বিরুদ্ধে যেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সম্প্রতি পদ্মশ্রী খেতাব পাওয়া নামী বলিউড অভিনেত্রী একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিশেষ করে ১৯৪৭-এ ভারতের পাওয়া স্বাধীনতা ভিক্ষে, আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে, এহেন মন্তব্য করে গোটা স্বাধীনতা আন্দোলন পর্বের ইতিহাস ধরেই টান মেরেছেন নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমর্থক ও বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ‘ক্যুইন’।

এমনকী মহাত্মা গাঁধীর অহিংসার মন্ত্রকেও কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, এক গালে চড় খেয়ে আরেক গাল বাড়িয়ে দিলে স্বাধীনতা নয়, ভিক্ষেই মেলে! এরপরে তাঁর বিরুদ্ধে ই নালিশ ঠুকেছে কংগ্রেসের যুব সংগঠন।

ভারতীয় যুব কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক আইনজীবী অমরীশ রঞ্জন পান্ডে, সংগঠনের আইনি শাখার জাতীয় কো-অর্ডিনেটর তথা আইনজীবী অম্বুজ দীক্ষিতের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার যখন তিনটি কৃষি আইন বাতিল ঘোষণা করেন, তখন কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ভারতকে ‘জেহাদি রাষ্ট্র’ বলেন, ‘খোলাখুলি ভারতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা’র ডাক দেন।

কঙ্গনা নামী অভিনেত্রী, ইনস্টগ্রামে তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। সুতরাং, তাঁর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্টের ফলে ভারত প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে বিরাগ, বিদ্বেষ ও ঘৃণা ছড়াতে পারে।

কংগ্রেস যুব নেতাদের বক্তব্য, আমরা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কিন্তু তা একটা যুক্তিগ্রাহ্য সীমার পর মেনে নেওয়া যায় না। সরকার বা কোনও জনপ্রতিনিধির সমালোচনা ভারতের যে কোনও নাগরিক করতে পারেন, কিন্তু দেশের প্রতি বিতৃষ্ণা ছড়ানো বা দুষ্কর্মে উসকানি দেওয়া মন্তব্য করার অনুমতি নেই।