তিরাশিতে পা দিলেন। আজও তিনি গ্ল্যামার-কুইন। আজও তিনি ডিভা, সেই ওয়াহিদা রহমান। চৌধ্বী কা চাঁদ খ্যাত অভিনেত্রী ১৯৫৫ সালে রােজুলু মরায়ি নামে তেলুণ্ড ছবির হাত ধরে রুপােলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন। ৫৬ সালে সিআইডি, ৫৭ সালে পিয়াসা, ৫৯ সালে কাগজ কে ফুল, ৬০ সালে চৌধ্বী কা চাঁদ, ৬২ সালে সাহেব-বিবি গুলাম-এর মতাে ব্যাক টু ব্যাক হিট ছল্প মাধ্যমে বলিউডের প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছিলেন ওয়াহিদা রহমান।
গুরু দত্তের সাহেব-বিবি-গােলাম ছবিটি অভিনেত্রীর মুকুটে সাফল্যের পালক এনে দিয়েছিল। তাঁর প্রথম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড এনে দেয় এই ছবিটিই। এরপর গাইড, নীলকমল, রাম অউর শ্যাম, খামােশি ছবির মাধ্যমে অভিনেত্রীর প্রতিভা আরও বিকশিত হতে শুরু করে।
Advertisement
১৯৭১ সালে রেশমা অউর শেরা ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার। পরের বছর পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। ২০১১ সালে পদ্মবিভূষণ সম্মান দিয়ে কিংবদন্তী অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানায় ভারত সরকার।
Advertisement
জন্ম ১৯৩৮ সালের চাংগলপেটে (বর্তমানে তামিলনাড়ু)। ছােট থেকেই ভারতনাট্যমের তালিম নিয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। মায়ের অসুখ এবং নানা টানাপােড়েনে সেই স্বপ্নকে তাড়া
করতে পারেননি ওয়াহিদা। তবে হেরে যাননি। নিজের নাচের তালিমকে কাজে লাগিয়ে টিনসেলে দখল করে নিয়েছেন নিজের স্থান।
অভিনয় দক্ষতাও ছিল দুর্দান্ত। এতটাই পারদর্শিতা ছিল যে ১৯৭৬ সালে আদালতে অমিতাভ বচ্চনের প্রেমিকা ও ১৯৭৮ সালে ত্রিশূল ছবিতে তার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। বলা বাহুল্য, সাতের দশকে ওয়াহিদার জন্যই বলিউডের জৌলুস অনেক গুণ বেড়েছিল।
আশি পেরিয়েও কিন্তু এতটুকু ফিকে হয়নি গ্ল্যামার। অগণিত ছবিতে অভিনয় করেছেন নিজের প্রাইম টাইমে। ২০২০ সালেও অভিনয় করেছেন ডেসার্ট ডলফিন নামে একটি ছবিতে। এই কিংবদন্তী অভিনেত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাধুরী দীক্ষিত, সােনাম কাপুরসহ বলিউডের একঝাঁক তারকা।
Advertisement



