• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

প্রতিবেশী বৃদ্ধ দম্পতিকে বাবা–মা সাজিয়ে এনুমারেশন ফর্ম ভরলেন তিন ভাই, তদন্তে প্রশাসন

গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা হর্ষিত বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে আর আমার স্ত্রী শুভাসিনী বিশ্বাসকে মা–বাবা সাজিয়ে ওই তিন ভাই এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করেছে।’

চিন্তিত অভিযোগকারী।

এবার বাগদার শিঙি গ্রামে ফাঁস হল বিস্ময়কর এক কাণ্ড। এসআইআর প্রক্রিয়া ঘিরে একের পর এক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ দম্পতিকে বাবা–মা সাজিয়ে তাঁদের এপিক নম্বর ব্যবহার করে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করেছেন তিন ভাই—হিরণ্ময় বিশ্বাস, রঞ্জন বিশ্বাস ও প্রশান্ত বিশ্বাস। ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আতঙ্কে প্রায় নিদ্রাহীন দিন কাটছে অভিযোগকারীর।

গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা হর্ষিত বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে আর আমার স্ত্রী শুভাসিনী বিশ্বাসকে মা–বাবা সাজিয়ে ওই তিন ভাই এনুমারেশন ফর্ম ফিলআপ করেছে।’ তাঁর দাবি, কয়েক দিন আগে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। তারপরই ফর্ম বাতিলের আবেদন জানিয়ে বাগদার বিডিওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান। একই সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েতকেও ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

হর্ষিতবাবুর কথায়, ‘হিরণ্ময়, রঞ্জন আর প্রশান্ত আমাদের ঘরের একদম পাশেই থাকে। কেন এমন করল, কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন ভেবে রাতের ঘুম উড়েছে। এই বিপদ থেকে মুক্তি পাব কী করে!’

Advertisement

ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বপন হাওলাদারও। তিনি বলেন, ‘এই তিন ভাইকে ৯০-এর দশক থেকে চিনি। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।’ তাঁর বক্তব্য, বৃদ্ধের অভিযোগও খতিয়ে দেখা জরুরি।

প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তিন ভাই কী উদ্দেশ্যে এই বেআইনি কাজ করলেন, তা জানতে চেষ্টা করছে দপ্তর। এসআইআরের আবহে ইতিমধ্যেই একাধিক বিতর্কিত ঘটনার কথা সামনে এসেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনুপ্রবেশ ও বেআইনি নাম জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় শিঙি গ্রামের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে বাগদা জুড়ে।

Advertisement