অর্ণব সাহা, জলপাইগুড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন সবজি বাজারে অভিযানে নামলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বুধবার জলপাইগুড়ির সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার আধিকারিক ও এগ্রি মার্কেটিংয়ের অফিসাররা সবজি বাজারে অভিযানে নামেন। বাজারে এসে তারা দেখেন কেজি প্রতি আলু ৩৫-৪০ টাকা, পটল – ৬০-৮০ টাকা কিলো,ঝিঙে ৬০-৭০ টাকা কিলো, কচু ১ পিস ৫০ টাকা, কুমড়ো ৪০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা কিলো, আদা ২৫০ – ৩০০ টাকা কিলো, লংকা ২৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। যার জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে গৃহস্থের। কেন এত দাম বেড়েছে সেটাও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে কোনও সদুত্তর পান নি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সদর মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী এদিন শহরের বয়েল খানা বাজারে যান। সেখানে তিনি দেখেন সব্জির আকাশছোঁয়া দাম।
জলপাইগুড়ি শহরের বয়েল খানা বাজারে আসা এক ক্রেতা রঞ্জন দত্ত জানান,বাজারে কোনো জিনিসে হাত দেওয়া যাচ্ছে না।সরকার সবজির দাম কমাতে উদ্যোগী হয়েছেন।আজ সদর মহকুমা শাসক বাজারে এসেছেন বাজার দর দেখতে।এটা ভালো লাগল।
Advertisement
সদর মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, কোনও ভাবেই যাতে কেউ বেশি দাম না নিতে পারে৷ সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ যদি ভেবে থাকেন কোনও ভাবে তারা দাম বাড়িয়ে নেবেন এটা হবে না। আমরা কড়া পদক্ষেপ নেব। কেউ কেউ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছেন এটা ঠিক।কেউ দাম বাড়ালে তা বরদাস্ত করা হবে না।
Advertisement
এদিকে জলপাইগুড়ির পাশাপাশি বুধবার ধূপগুড়ি শহরের সবজি বাজারে মহকুমাশাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা এবং ধূপগুড়ি থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য একসঙ্গে সবজির বাজারে অভিযান চালান। খুচরো বাজারের সঙ্গে পাইকারি বাজারের সবজির দামের মধ্যে কতটা তফাৎ সেই বিষয়ে ঘুরে ঘুরে তদন্ত করেন তাঁরা। অভিযোগ উঠেছে সবজির দাম বাড়লেও কৃষকরা মুনাফা পাচ্ছেন না, মুনাফা কামাচ্ছেন ফড়েরা। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে কড়া নির্দেশ দেন বাজারে বেশি দামে সবজি বিক্রি আটকাতে টাস্কফোর্সকে আরও সক্রিয় হতে হবে। যত দিন না দাম কমছে ততদিন বাজারে নিয়মিত নজরদারি চালাবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা।নজর রাখবে পুলিশও।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, এদিন ধূপগুড়িতে অভিযানে নামে প্রশাসনিক আধিকারিকরা
খুচরো সবজি বিক্রেতা আনন্দ কুমার সাহা বলেন, পাইকারি বাজার ও খুচরো বাজারের মধ্যে সবজির দামে ৫-১০ টাকার হেরফের রয়েছে। কিছু খুচরো বাজারে সবজির দাম একটু বেশি রয়েছে। সেই সব ব্যবসায়ীরা অল্প সবজি কিনছে বলে তাদের কাছে দাম বেশি।তাছাড়া এমনি দাম ঠিক রয়েছে।
Advertisement



