আজই ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবে তৃতীয় এনডিএ সরকার। তবে বাজেটে জনস্বার্থে কিছুই ইতিবাচক পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছে তৃণমূল। শুক্রবার দিল্লি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে সুর চড়ালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় বাজেটে গরিব বা মধ্যবিত্তদের কোনও উপশম দেওয়া হয় না। যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন বাজেট নিয়ে কোনও আশা নেই। বিজেপির বাজেট কেবল শিল্পপতিদের জন্য। কৃষি আইনের কারণে ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি নোটবন্দি থেকে শুরু করে জিএসটির বাস্তবায়ন– সব কিছুই এই বিজেপি শাসনে ঘটেছে। অভিষেকের আরও দাবি, জনবিরোধী সরকারের আমলে ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন এবং গরিবরা আরও গরিব। তবে বাজেট-ইস্যুতে কেন্দ্রকে ফের চাপে ফেলতে যে তৃণমূলও প্রস্তুত, তার ইঙ্গিত মিলেছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ভোটমুখী দিল্লিতে যাওয়ার পথে ফের আম আদমি পার্টির পাশে দাঁড়ালেন অভিষেক। দিল্লির মসনদে কি কেজরিওয়ালের সরকারই ফিরবে? এ প্রসঙ্গে সাংসদের সাফ যুক্তি, বিজেপি বিরোধী শক্তি জয়লাভ করুক, এটাই তৃণমূলের অভিপ্রায়। দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি আপ। তাই স্বাভাবিকভাবেই, তাদের জয় চায় রাজ্যের শাসকদল। তাঁর কথায়, ‘ইন্ডিয়া জোট গঠনের সময় যা বলেছিলাম তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। গত পাঁচ বছরে আমরা দেখেছি কীভাবে কেন্দ্র গণতান্ত্রিক দিল্লি সরকারের অধিকার কেড়ে নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে আপ নেতাদের হয়রানি করেছে। বিজেপি যত প্রতিহিংসা দেখাবে, জনতার রায় তত তাদের বিরুদ্ধে যাবে।’
Advertisement
আজ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবার দেশের জিডিপির হার নিম্নমুখী হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে অর্থনৈতিক সমীক্ষায়, সেটাই উদ্বেগের। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বাজেট নিয়ে যথেষ্ট হতাশা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যালেন্ডারকে কেন্দ্র করে সাময়িক বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এদিন সেই বিতর্কে ইতি টেনে অভিষেক স্পষ্ট জানান, দুটি ক্যালেন্ডারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। একটি ক্যালেন্ডার ডায়মণ্ড হারবারে বিশেষভাবে প্রচারিত হয়েছিল এবং অন্যটি দল দ্বারা প্রচারিত হয়েছিল। পরে অভিষেক জানতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবিটি পছন্দ করেননি। তাই সেই ক্যালেন্ডারটি ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিন মমতার সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে উল্লেখ করেন অভিষেক।
Advertisement
Advertisement



