ভবানী ভবনে ফুটেজ দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী

নবান্ন থেকে সোজা ভবানী ভবনে যান। ভবানী ভবন এর কনফারেন্স রুমে বসে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র নবান্ন অভিযান এর ফুটেজ খতিয়ে দেখেন বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর।

Written by SNS October 9, 2020 3:08 am

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

বৃহস্পতিবার ছিল বিজেপি’র নবান্ন অভিযান। সে সময় শহরের ছিলেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা। জেলা সফরে গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামে। এদিন ফিরেই বিজেপি’র নবান্ন অভিযান এর ফুটেজ খতিয়ে দেখতে যান ভবানী ভবনে। সেখানে ফুটেজ খতিয়ে দেখতে দেখতে ডিজি’র সঙ্গে বৈঠক করেন বলে খবর।

এদিন নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে দিনভর রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। ধুন্ধুমার বাঁধে হাওড়া, সাঁতরাগাছি স্টেশন জি টি রোড এবং ফোরশোর রোডে। হাওড়া ময়দান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি জিটি রোডে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ বিজেপির মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঝারগ্রাম সফর শেষে হাওড়া ডুমুর জেলা অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে নবান্ন যান তিনি।

যদিও স্যানিটাইজেশনের কাজ বৃহস্পতি ও শুক্রবার করার ফলে অফিসাররা কেউ নবান্নে আসেনি। তাই নবান্ন থেকে সোজা ভবানী ভবনে যান। ভবানী ভবন এর কনফারেন্স রুমে বসে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি’র নবান্ন অভিযান এর ফুটেজ খতিয়ে দেখেন বলে ভবানী ভবন সূত্রে খবর।

অন্যদিকে, সামাজিক দূরত্ব বিদেশীকে তুলে ভিড় করে মিছিল দেখে স্বভাবতই আটকায় পুলিশ। মিছিল আটকাতে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়ে জখম হয় পুলিশ। পুলিশও জলকামান ছুঁড়ে, লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে বিজেপি নেতা-কর্মীকে। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক দলীয় নেতা আহত হন বলে অভিযোগ।

এরই পাশাপাশি মিছিলে থাকা এক ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। এরপর পুলিশ আরো সর্তকতা অবলম্বন করে। এদিনের কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান এবং কর্মীদের মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাজেয়াপ্ত হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওটা আমাদের এক কর্মীর কাছে নিরাপত্তার জন্যই ছিল। ওটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত। আমার দেহরক্ষীদের কাছেও লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক আছে। পুলিশকে ওটা ফেরত দিতে হবে।’

বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য বলেন, যুব কর্মীদের ওপর যে হামলা হলো তা রাজ্যে রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। যতই হামলা হোক বিজেপি’র আন্দোলন থামবে না। বোঝা যাচ্ছে মমতা ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাই আন্দোলন রুখতে মরিয়া।’

বিকেলে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি দিয়েছিলাম। যদিও মিছিলে বিধি ভঙ্গ হয়েছে। 25 হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছেন। পুলিশ সংযম দেখিয়েছে বলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি আরো বলেন, ‘জলকামানে কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি, তাতে হোলির রং মেশানো ছিল বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার সুবিধার জন্য।’