• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লিখিত জবাব রাজ্যের

সোমবার শীর্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিল রাজ্য

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

দীর্ঘদিন ধরে চলা সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা একধাপ এগোল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিল রাজ্য। কোন কোন রাজ্য ভোক্তা সূচক বা সিপিআই মানে না, তার তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়। শুনানিতে শীর্ষ আদালত এই তালিকা জানতে চেয়েছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্য লিখিতভাবে জানিয়েছে, প্রায় ১২টি রাজ্য এই সূচক মেনে ডিএ দেয় না।

উদাহরণ হিসেবে কেরল, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কেরল এবং কর্নাটক ছাড়়া অন্য রাজ্যগুলি হয় বিজেপিশাসিত, নয়তো অন্য দলের সঙ্গে জোট সরকারে রয়েছে বিজেপি।

Advertisement

পাল্টা হিসেবে মামলাকারী সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী করুণা নন্দী আদালতে নিজেদের বক্তব্য পেশের অনুমতি চান। যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমার মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি বিপুল পাঞ্চোলির ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। কোনও পক্ষের যদি অতিরিক্ত কিছু বলার থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়। সোমবার রাজ্য লিখিত বক্তব্য পেশ করে।

Advertisement

রাজ্যকে সরকারকে আগেই ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ছয় সপ্তাহ সময়ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দেয়নি। এরপর আরও ছয় মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন জানায় রাজ্য। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ৪ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট প্রতি দিন শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া বাধ্যতামূলক কি না সেটাই মামলার মূল বিষয়। ২০২২ সালে হাইকোর্ট কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। এটি রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য।

রাজ্যের যুক্তি মহার্ঘ ভাতা বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ সরকারি কর্মীদের মৌলিক অধিকার নয়। তাছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। তাই কেন্দ্রের যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। অন্যদিকে, কর্মচারীদের দাবি, ডিএ দেওয়া সরকারের নীতিগত দায়িত্ব। নির্দিষ্ট সময় অন্তর, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ডিএ দিতে হবে। প্রয়োজনে বকেয়া কিস্তিতে দিলেও চলবে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য বনাম কর্মীদের এই লড়াইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও বাকি। ফলে সকলের নজর শীর্ষ আদালতের রায়ের দিকে। এই রায় ঠিক করবে, কর্মীদের আন্দোলন জয়ী হবে, নাকি রাজ্যের আর্থিক যুক্তিই শেষ কথা বলবে।

Advertisement