• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘শিশুসাথী’ প্রকল্পে ৬৩ হাজারের বেশি শিশুর বিনামূল্যে চিকিৎসা: মমতা

৩০০ কোটি ব্যয়

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

‘শিশুসাথী’ প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩,০০০ -এরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার সমাজমাধ্যমে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমাদের শিশুদের সর্বোত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘শিশুসাথী’ প্রকল্পটি রাজ্যে ২০১৩ সালে চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৩,০০০-এরও বেশি শিশুর জন্মগত হৃদরোগ, ঠোঁট/তালু কাটা, ক্লাবফুট এবং নিউরাল টিউব ত্রুটির মতো রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়েছে। কোনও শিশু যাতে এই পরিষেবা থেকে বাদ না পড়ে সেটাই সরকারের লক্ষ্য।
শিশুসাথী প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। অনেক সদ্যোজাত শিশুর শরীরে অনেক রোগ থাকে। হৃদযন্ত্র, লিভার, ত্বক সহ একাধিক রোগ নিয়ে অনেকে জন্মায়। সেই সব অসুখের চিকিৎসা না করালে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে সেই শিশুরা। গরিব বাবা–মায়ের পক্ষে সব সময় এই সব রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। সেই কারণে ২০১৩ সাল‍ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ‘শিশুসাথী’ প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে শিশুরা চিকিৎসা পরিষেবা পায়। এবার শিশুদের হৃদযন্ত্রের কিছু দূরারোগ্য রোগও এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে।
সদ্যোজাত শিশুরা জন্মের পর ক্লেফট লিপ, প্ল্যালেট অর্থাৎ ঠোঁট বা তালু কাটা, ক্লাবফুট, নিউরাল টিউবের মতো দূরারোগ্য ব্যাধির শিকার হয়। এসব রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৬৩ হাজারের বেশি শিশুকে শিশুসাথী প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য রাজ্যের ব্যয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। জন্ম থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদন করার জন্য শিশুর অভিভাবককে আয়ের শংসাপত্র প্রদান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও ন্যূনতম বা অধিক আয়ের কথা জানায়নি সরকার। হার্টে ভাল্বের সমস্যা, হার্ট ফুটো, রক্ত সঞ্চালনে অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি সমস্ত জটিল হৃদরোগের চিকিৎসা থেকে অস্ত্রোপচার এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রতি বছর প্রায় ৩০০০ শিশুর হার্ট সার্জারির ব্যবস্থা করেছে। সরকারি ও বেসরকারি, দুই হাসপাতালেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। অফলাইনে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে সরাসরি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। তার আগে কথা বলতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন শিশুর বাড়ির সদস্যরা।

Advertisement

Advertisement