অমৃত ভারত প্রকল্পের অধীনে সেজে ওঠা কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের যাবতীয় পরিষেবার উদ্বোধন হতে চলেছে। ২২ মে উদ্বোধন করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় কাজ শেষ হওয়া প্রথম স্টেশন হল কল্যাণী ঘোষপাড়া। বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরিষেবার বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন শিয়ালদহের ডিআরএম রাজীব সাক্সেনা। পরিদর্শনের পর তিনি জানান, চলতি মাসেই এই স্টেশনের উদ্বোধন হবে। দিল্লি থেকেই এই উদ্বোধনের কাজ হবে।
কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনটি কল্যাণী থেকে কল্যাণী সীমান্ত লাইনের মাঝে অবস্থিত। সারাদিনে ১৬টি করে আপ ও ডাউন ট্রেন কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশন দিয়ে চলাচল করে। কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের পাশেই রয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কল্যাণী সরকারি আইটিআই। প্রচুর পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা এই স্টেশন ব্যবহার করেন। এছাড়া সতীমায়ের মেলার জন্য অতি পরিচিত এই স্টেশন।
শিয়ালদহ ডিভিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, স্টেশন ভবনের পরিকাঠামো বদল, বিশ্রামাগার, শেডের উন্নয়ন, শৌচাগার, বসার সিট, পানীয় জল সবই আধুনিক মানের করে তৈরি করা হয়েছে। সারা দেশের ১০৩টি স্টেশনের সঙ্গে এই স্টেশনের পরিষেবা চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি সমস্ত পরিষেবার উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে দেশে ১২৭৫টি স্টেশনে উন্নয়নের কাজ চলছে। সম্প্রতি পূর্ব রেলের জিএম মিলিন্দ কে দেউসকর জানিয়ে ছিলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই অমৃত ভারত স্টেশনগুলির কাজ শেষ হয়ে যাবে। তার মধ্যেই শিয়ালদহ শাখার কল্যাণী ঘোষপাড়া স্টেশনের কাজ শেষ হওয়ায় উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ধাপে ধাপে গোটা দেশের ৫০০টির বেশি স্টেশন আধুনিকতার ছোঁয়া পাবে। রেলের তরফে এই স্টেশনগুলিকে বলা হচ্ছে ‘অমৃত ভারত’ স্টেশন। এই কাজের জন্য প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। স্টেশনের প্রবেশপথ, প্ল্যাটফর্ম থেকে শৌচাগার কিংবা বিশ্রামকক্ষ সব কিছুতেই বদলের ছোঁয়া লাগবে। রেলের দাবি, ভবিষ্যতে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ‘অমৃত ভারত’ স্টেশনগুলিতে পরিকাঠামোগত কোনও সমস্যা হবে না।