রাজনীতিতে আসছি না: প্রসেনজিৎ

সরস্বতী পুজোর দিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে দেখা বিজেপি-র সংগঠক এবং অমিত শাহকে নিয়ে বইয়ের লেখক অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | February 18, 2021 6:43 pm

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Photo@Arnab Biswas/SNS)

সরস্বতী পুজোর দিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে সস্ত্রীক তাঁর সঙ্গে দেখা বিজেপি-র সংগঠক এবং অমিত শাহকে নিয়ে বইয়ের লেখক অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই জল্পনার অবসান ঘটাতে এবার নিজেই আসরে নামলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বললেন, মনে হচ্ছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে চিনতে এত ভুল করল? এতটাই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আসছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই রাজনীতিতে যােগ দিচ্ছেন। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু দয়া করে এর মধ্যে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে টানবেন না।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় যদি কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা বুক ফুলিয়ে সকলের সামনে ঘােষণা করবে। একজন অভিনেতা এবং সিনিয়র শিল্পী হিসাবে কেন্দ্র এবং রাজ্যের দুই সরকারের কাছে আমার একটাই অনুরােধ সিনেমাটা বাঁচাও! ঋত্বিক ঘটক, সত্যজিৎ রায় যে ভাষার ছবি তৈরি করে গিয়েছেন, সেই ভাষার সিনেমাকে বাঁচাও।

আর দু’পক্ষ এক না হলে কিন্তু সিনেমাকে বাঁচানাে যাবে না। এটা কারও একার কাজ নয়। কোনও একপক্ষের কাজ নয়। এটা কেউ ভাবছেও না! বলছেও না! আর তেমন ভাবে বলবেও না বােধহয়। দ্বিতীয় কথা আমার কাছে যে কেউ যে কোনও সময় আসতেই পারেন।

মঙ্গলবার যেমন অনির্বাণ এসেছিলেন। দারুণ মানুষ। আমার তাে ওঁকে খুব ভাল লেগেছে। আমাকে বই উপহার দিলেন। উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। পরিচয়ের পরিসর বাড়াতে এসেছিলেন। উনি কিন্তু আমায় কিনতে আসেননি। আমার থেকে কিছু চাইতেও আসেননি। সকলেই চাওয়া-পাওয়ার জন্য আসে না। ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমার বাড়িতে এসেছিলেন।

তিনি জানতেন, আমি এমন একজন মানুষ, যার জন্য সকলে আসবে আমার বাড়িতে। তাই বৈঠকটা আমার বাড়িতে হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বাড়ি এসেছিলেন মানেই কি আমি তৃণমূলে যােগ দিয়েছি? নাকি যােগ দিয়েছিলাম? একটু ভাবুন। একটু বুঝুন। তারপরে বলুন।

এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার খুবই ভাল সম্পর্ক। দেখা হলেই কথা হয়। তার জন্য তাে আমায় তৃণমূলে যােগ দিতে হয়নি! যাঁর যে রাজনৈতিক মতাদর্শই থাক, আমার বাড়িতে সকলের জন্য দরজা খােলা। বিজেপি প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির বড় মহল অবধি জানে, রাজনীতির বিষয়ে আমার মত কী।

গত ১০ বছরে সুযােগ থাকা সত্ত্বেও আমি যখন রাজনৈতিক দলে যােগ দিইনি, তখন এখনও দেব না। আর এখন বলে নয়, মুম্বইয়ে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হলে ঋতুপর্ণ ঘােষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেনের সঙ্গে আমাকেও ডাকা হত এটা গর্বের বিষয় নয়।

কিন্তু এটা সত্যি। কতবার কমল হাসানের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা হয়েছে আমার! কথা হয়েছে। এগুলাে সবই অভিনয়ের জন্য। দোহাই আপনাদের, এবার আমার রাজনৈতিক দলে যােগদান নিয়ে জল্পনা বন্ধ করল।

আর যাই হােক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কোনও রাজনৈতিক দলে যােগ দেবে না। জেনে রাখুন। বিশ্বাস করতে শিখুন।