করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে স্কুল-কলেজে ফের তালা পড়েছে নতুন বছর শুরুর মুখে। এদিকে শপিং মল, রেস্তরাঁ, জিমে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে খুললেও স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না রাজ্য সরকার।
পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। এমতাবস্থায় খুলে দেওয়া যেতে পারে শিক্ষাঙ্গন। এই মর্মে আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
Advertisement
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে স্কুল খোলার আবেদন জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। বলা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই ফের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হতে পারে।
Advertisement
শিক্ষা দফতর মনে করছে, কমবয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে, কাজেই উদ্বেগ ধীরে ধীরে কমছে। পাশাপাশি, ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
তাই করোনা গাইডলাইন মেনে স্কুল খুললে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে স্কুল খুলবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
কোভিডবিধি এবং সতর্কতা মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলে দেওয়ার পক্ষে সরব হয়ে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অন্যান্য সংগঠন।
কাজেই এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার পক্ষেই মত দিয়েছে শিক্ষা দফতর। স্কুল খোলার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছে একটি ছাত্র সংগঠন।
অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট ফেডারেশন (এআইএসএফ) নামে সংগঠনটির দাবি স্কুল খোলা নিয়ে রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করুক। মামলাটি করেছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌমেন হালদার।
এই নিয়ে একই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ে হয়েছে। স্কুল খুললেও কী কী বিধিনিষেধ মানতে হবে, তা নবান্ন সবুজ সংকেত দেওয়ার পরেই ঠিক করা হবে।
গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছিল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হয়। চালু হয় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়।
কিন্তু ওমিক্রন হানা দেওয়ার পরে ফের স্কুলে তাড়া পড়ে যায়। তা ছাড়া কয়েকটি স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি রাজ্য সরকার। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে এদিন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের পঠন-পাঠন শুরুর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।
Advertisement



