• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নিয়োগের জট খোলার চেষ্টায় অভিষেক-কুণাল

প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন।আট বছর আগে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণদের অবস্থান হঠিয়ে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার রাতভোর অবস্থান চলে। শনিবার সকালে দেখা যায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দিচ্ছে।

Advertisement

এদিকে, এই বিক্ষোভের নেপথ্যে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি রয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘সিপিএম জমানায় একের পর এক মিটিং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে হয়নি? সিপিএমকে তুলোধনা করার পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল।

তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের মধ্যেই অভিযোগ ছিল মনমোহন সিং সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারত না। সমান্তরাল সরকার চলত ১০ নম্বর জনপথ থেকে।

রাহুল গান্ধি আর সোনিয়াজির বাড়ি থেকে। এর পাশাপাশি, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কুণাল বলেন, ‘হ্যাঁ ভুল হয়েছে।

যাঁদের উপর দায়িত্ব ছিল, তাঁরা অনেকেই দায়িত্ব পালন করেননি। তার একটা পার্ট, তদন্তের পার্ট। সেটা তদন্ত চলছে। দোষীদের শাস্তি হোক।

কিন্তু তা বলে যারা কর্মপ্রার্থী, তাঁদের ওয়ে আউটটাও তো একটা বের করতে হবে। অভিষেক সেই চেষ্টাটা করেছেন।’ বিজেপির কেন এই নিয়ে সমস্যা হচ্ছে, এই প্রশ্ন কুণাল রাখেন।

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন। আট বছর আগে নরেন্দ্র মোদি এই মন্তব্য করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কথা সত্যি বলে ধরে নেওয়া হলে, এই আট বছরে সারা দেশে ১৬ কোটি চাকরি হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে কী হয়েছে, তা মানুষ তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বুঝতে পারছে।

আগে থেকে সময় না নিয়ে আচমকাই কয়েকজন এসে বললেন, ‘আমরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। এভাবে কি দেখা করা যায়? সবকিছু পদ্ধতি মেনে হয়।’

এমনই প্রশ্ন তোলেন কুণাল। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করছেন।

তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায় তার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়াকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’

Advertisement