• facebook
  • twitter
Friday, 12 December, 2025

প্রেমের সম্পর্কেও যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না নাবালিকা : হাইকোর্ট

কয়েকবছর আগের একটি পকসো মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না কোনও নাবালিকা। তাঁর সম্মতি গ্রহণযোগ্যও নয়। কয়েকবছর আগের একটি পকসো মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এক যুবক। ২০১৬ সালে তারা দুজনে সহবাস করে। এরপর নাবালিকার আপত্তি সত্ত্বেও একাধিকবার তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। এর জেরে নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
বিষয়টা জানাজানি হতেই নিজের সন্তানকে অস্বীকার করে অভিযুক্ত। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে নারকেলডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিম্ন আদালত প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন নিম্ন আদালতের বিচারক। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় যুবক। নাবালিকার বয়স, সম্মতি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবী।
হাইকোর্টে সেই মামলাটি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা জানান, নির্যাতিতার বয়ান ও ডিএনএ রিপোর্টে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর কোনও প্রমাণের দরকার পড়ে না। নাবালিকা প্রেমের সম্পর্কে থাকলেও সে যৌনতায় সম্মতি দিতে পারে না। সম্মতি দিলেও তা গ্রহণযোগ্য হয় না।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা একেবারে যথার্থ। সেই কারণে নিম্ন আদালতের যাবজ্জীবনের সাজাই বহাল রাখে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত হয়ে থাকলে তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাইকোর্ট জানিয়েছে, স্টেট লিগাল সার্ভিস অথারিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিতে হবে। অভিযুক্তকে আরও ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।

Advertisement

Advertisement