• facebook
  • twitter
Monday, 24 March, 2025

ফর্ম ফিল আপ করেও অ্যাডমিট মেলেনি খড়্গপুরের চার পড়ুয়ার

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুর্গাপ্রসাদ ভৌমিক বলেন, আমি কলকাতায় গিয়ে নিবেদিতা ভবনে দেখা করেছিলাম। ওরা কথা বলতেই রাজি নন।

ফাইল চিত্র

গত ১ ফেব্রুয়ারি স্কুলের ২৯৩ জন ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফর্ম ফিল আপ করেও এখনও মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি খড়গপুর ১ নং ব্লকের গোকুলপুর বিধানচন্দ্র বিদ্যাভবনের চার ছাত্র-ছাত্রী। প্রসঙ্গত পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহের জন্য কলকাতায় রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মূল কার্যালয় নিবেদিতা ভবনে দৌড়ে গেলেও কার্যত কোনও আশ্বাস পাননি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাই আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাধ্যমিক পরীক্ষায় আদৌ বসতে পারবেন কিনা, তাই নিয়ে রীতিমতো সংশয়ে গোকুলপুর বিধানচন্দ্র বিদ্যাভবনের চার পড়ুয়া।

গত ১ ফেব্রুয়ারি গোকুলপুর বিধানচন্দ্র বিদ্যাভবনে মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এসে গেলেও কলাইকুন্ডার মিতালি রায়, পূর্ব আম্বার সাগরিকা মান্না, গোকুলপুরের শুভজিৎ সাহু ও সূর্য মাঝির অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। শুভজিৎ সাহু বলেন, আমরা ঠিক সময়ই ফর্ম ফিল আপ করেছিলাম। কেন এখনও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি জানতে স্কুলে গিয়েছি। কিন্তু স্কুল কিছু জানাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার অবধি আমরা অ্যাডমিট কার্ড পাইনি। সাগরিকা মান্নার বাবা তাপস মান্না বলেন, ফর্ম ফিল আপ করার প্রথম তারিখে শরীর খারাপ থাকার জন্য সাগরিকা স্কুলে যেতে পারেনি। পরে গিয়ে শোনে ফর্ম ফিল আপ হয়ে গিয়েছে। সেই সময় টাকা জমা দিয়ে চালান কেটেছিল, তাই সাগরিকা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অ্যাডমিট কার্ডের অপেক্ষা করছে। মিতালী রায় বলেন, আমাদের দিক থেকে যা করার সবই করেছি। তাও অ্যাডমিট কার্ড আসেনি কেন বুঝতে পারছি না।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুর্গাপ্রসাদ ভৌমিক বলেন, আমার স্কুলের চার পড়ুয়া এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। এ জন্য স্কুলের করণিকের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এখন অনলাইন পোর্টাল বাংলার শিক্ষায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নাম এনরোল করতে হয়। তার জন্য টাকা জমা দেওয়ার চালান এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হয়। পোর্টালে এনরোল করার সময় নিশ্চয়ই কিছু সমস্যা হয়েছে। যার জন্যই ওদের অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমারও একটা দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। আমি কলকাতায় গিয়ে নিবেদিতা ভবনে দেখা করেছিলাম। ওরা কথা বলতেই রাজি নন। শেষ পর্যন্ত একটা আবেদনপত্র জমা করে এসেছি। জানিনা কতটা কি কাজ হবে।