নিজস্ব প্রতিনিধি–– বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। এ বছরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের অন্যতম ধনী শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। এদিন সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদিন কতটা পথ হাঁটেন এই নিয়ে তাঁকে অবাক হতে দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি বক্তব্য রাখার সময় মমতার একটি কবিতার লাইন উল্লেখ করেছেন মুকেশ। ‘মায়ের মুখ, স্বর্গসুখ’– এই লাইনের অর্থ সকলের সামনে ব্যাখ্যা করে তিনি মমতা ও বাংলার সংস্কৃতির প্রশংসা করেছেন। সাধারণ মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সহানুভূতি এই শিল্পপতির নজর কেড়েছে। দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এদিন মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুকেশ।
সম্মেলনে বক্তব্য শুরু করার পর মমতার সঙ্গে তাঁর আলোচনার একটি বিষয় সকলের সামনে তুলে ধরেন মুকেশ। সেই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সজ্জন জিন্দলও। আলোচনা চলাকালীন মমতা তাঁদের বলেছিলেন যে তিনি ৬৪ হাজার স্টেপ হাঁটেন। প্রথমে মুকেশরা ভেবেছিলেন মমতা হয়তো সপ্তাহে ৬৪ হাজার স্টেপ হাঁটার কথা বলছেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ মমতা জানিয়ে দেন যে তিনি দিনে ৬৪ হাজার স্টেপ হাঁটেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এনার্জির প্রশংসা করেছেন মুকেশ আম্বানি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁটতে খুব ভালোবাসেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে তাঁকে খুব জোড়ে হাঁটতে দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে হেঁটে পারেন না কেউই। সাংবাদিক থেকে দলের নেতা মন্ত্রীরা সকলেই মমতার গতির সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হেঁটে একেবারেই ক্লান্ত বোধ করেন না। সমতল তো বটেই পাহাড়ে গিয়েও হেঁটে জনসংযোগ সারেন তিনি। গত বছরই তাঁর হাঁটুতে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও হাঁটা বন্ধ করেননি তিনি। পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে এত হাঁটতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু তাতে কোনওদিন কর্ণপাত করেননি মমতা।
মমতার বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে এতটা হাঁটতে পারা সকলের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার। কোনও সাধারণ কর্মজীবী মানুষ দিনে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটলে তা সুস্থতার বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরা হয়। এর থেকে প্রায় ৬ গুণেরও বেশি রোজ হাঁটেন মমতা। বয়সের তোয়াক্কা না করেই মমতার এই এনার্জি দেখে তাই অবাক হয়েছেন মুকেশ আম্বানিও।