• facebook
  • twitter
Sunday, 27 April, 2025

হোমিওপ্যাথির ডিপ্লোমা নিয়ে অবৈধ পলিক্লিনিক, গ্রেপ্তার বাঁকুড়ার পাহাড়িবাবু

রবিবার নালায় দুটি ভ্রূণ উদ্ধার হওয়ার পর স্থানীয়রা সন্দেহ করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পাহাড়িবাবু, যার আসল নাম মানস মুখোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার সোনামুখীতে হোমিওপ্যাথির ডিপ্লোমা নিয়ে শল্য চিকিৎসা শুরু করেছিলেন। তিনি একটি নার্সিংহোমও চালু করেন। কিন্তু পরে সেটি ভাড়া দিয়ে নিজের প্র্যাকটিস চালিয়ে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাহাড়িবাবুর বিরুদ্ধে অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার নালায় দুটি ভ্রূণ উদ্ধার হওয়ার পর স্থানীয়রা সন্দেহ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

রবিবার পুলিশ পাহাড়িবাবুকে গ্রেপ্তার করে এবং সোমবার তাঁকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে। বিচারক তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযোগ অনুযায়ী, রবিবার সকালে পাহাড়িবাবু এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে সোনামুখী পুরসভা লাগোয়া নর্দমার পাশে যান। সেখানে ওই মহিলা একটি বালতি থেকে জিনিস নর্দমায় নিক্ষেপ করেন। এই ঘটনায় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা নর্দমা লক্ষ করলে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। নর্দমার মধ্যে তাঁরা দুটি ভ্রূণ পড়ে থাকতে দেখেন।
পাহাড়িবাবুর বিরুদ্ধে শল্য চিকিৎসকের পরিচয়ে প্রতারণা, বেআইনি পলিক্লিনিক এবং অবৈধ গর্ভপাতের মতো গুরুতর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁর কাছে ডিএমএস নামের একটি হোমিওপ্যাথির শংসাপত্র রয়েছে, যার ভিত্তিতে তিনি চিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। পুলিশ এ বিষয়েও তদন্ত করছে যে, তিনি কতদিন ধরে এই কাজ চালিয়ে আসছিলেন। শনিবার রাতে তিনি দুজন মহিলার গর্ভপাত ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন, তবে পুলিশ মনে করে তাঁর সঙ্গে অন্য সহযোগীরা ছিল। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস জানান, আদালতে হেফাজতের আবেদন করা হলে সেটি মঞ্জুর হয়েছে, যাতে তদন্তের অগ্রগতি সম্ভব হয়।