মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত বাংলা গানের আন্তর্জাতিক উৎসব নিয়ে উচ্ছ্বসিত গান-পাড়া

বাংলায় গান গেয়েই ‘আমার আমিকে এই বাংলায় খুঁজে পাই’। এই ছিল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের কলি। এই রাজ্যে তাকেই বাস্তব রূপ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

Written by SNS Kolkata | November 11, 2021 5:59 pm

লোপামুদ্রা মিত্র, ইমন চক্রবর্তী, এবং মনোময় ভট্টাচার্য (Photo: SNS)

বাংলায় গান গেয়েই ‘আমার আমিকে এই বাংলায় খুঁজে পাই’। এই ছিল প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানের কলি। এই রাজ্যে তাকেই বাস্তব রূপ দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০২২ সালকে গানে গানে ভরিয়ে দিতে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাংলা গানের উৎসব। শীতের মধ্যেই রেড রোডে বসবে এই গানের জলসা।

শোনা যাবে আধুনিক থেকে টপ্পা, বাউল, রাগাশ্রয়ী গান ইত্যাদি সব ধরনের বাংলা গান। অনুষ্ঠানের থিম হয়েছে গাইবে লোকাল, শুনবে গ্লোবাল। দেশ-বিদেশের সঙ্গীতকার থেকে এই শহরের সংগীতপ্রেমী মানুষ–সকলেই একসঙ্গে বসে শুনবেন সেই গান।

বাংলা গানকে এইভাবে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করার এই সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলার সঙ্গীতশিল্পীরা। গত প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অতিমারী লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ গানের মঞ্চানুষ্ঠান। ফলে সঙ্গীতশিল্পী থেকে যন্ত্রশিল্পী সকলেরই জীবন জীবিকা প্রায় বিপর্যস্ত।

এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্তর্জাতিক বাংলা গানের উৎসব করার উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পীরা। এই তালিকায় রয়েছেন লোপামুদ্রা মিত্র, ইমন চক্রবর্তী, রণজয় ভট্টাচার্য, মনোময় ভট্টাচার্য, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

লোপামুদ্রা মিত্র জানিয়েছেন, বহু দিন পরে বাংলা গানের শিল্পীদের জন্য এত ভালো খবর শুনলাম। সব ধারার বাংলা গানের মিলন হবে এক মঞ্চে। বাংলার সংস্কৃতি বিশ্বে বন্দিত হবে। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী যখন এই উৎসবের ঘোষণা করেন, সেখানেই ছিলেন শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান বাস্তবায়িত হলে বাংলা সঙ্গীত জগতের পক্ষে বিশেষ উপকার হবে। মনোময় ভট্টাচার্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই শিল্পীদের পাশে থাকেন। নতুন করে মঞ্চানুষ্ঠানে সবুজ সংকেত দেওয়া হলে শিল্পীরা আগের মতো অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী হবেন।

দর্শক শ্রোতারাও গান শুনতে ভরসা পাবেন। সারেগামাপা বিজয়ী শিল্পী অর্কদীপ মিশ্র, রণজয় ভট্টাচার্যরা মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

তার কথায়, টানা বছর শিল্পীদের খারাপ অবস্থা গিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেই মঞ্চানুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার তা উঠে গেলে বাংলা গানের দুনিয়ায় আবার জোয়ার আসবে। শিল্পীদের আর অনাহারে দিন কাটাতে হবে না।