ওয়াকফ আইন এবং এসআইআর বাতিলের দাবিতে বুধবার ধর্মতলায় আইএসএফের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ ও মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের ধস্তাধস্তি ও বিক্ষোভ শুরু হয়।
পুলিশের বাধা পেরিয়ে মিছিল ধর্মতলার মূল রাস্তায় পৌঁছলে বিক্ষোভকারীরা ওয়াই চ্যানেলে বসে পড়েন এবং ধরনায় শামিল হন। তাঁদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ বহু আইএসএফ কর্মীকে আটক করে। শেষ পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকীকেও আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ, সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে। তিনি বলেন, ‘বুকে মেরেছে, জামা ছিঁড়ে দিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছি। মাথায় টুপি আছে বলে কি প্রতিবাদ করতে পারব না?’ নওশাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই এই আন্দোলন দমন করা হচ্ছে। ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে খুশি করতে এই আন্দোলনে বাধা প্রদান করছে।’
Advertisement
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আইএসএফ কোনো অনুমতি নেয়নি। তাই মিছিল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল।’ তিনি আরও জানান, নওশাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
লালবাজারে পরে বিধায়কের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার জেরে কিছু সময়ের জন্য ডোরিনা ক্রসিংয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। আইএসএফ নেতৃত্ব ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের নির্দেশেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতেই এই কায়দা।
Advertisement



