• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

শক্তিবৃদ্ধিতে গণজাগরণের ধুয়ো, শুরু হল সিপিএমের ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’

১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে শেষ হবে এই দীর্ঘ পদযাত্রা। সেই সময়ের মধ্যে সিপিএম কতটা জনমত ধরে রাখতে পারে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জনসংযোগের হাওয়া তুলতে পথে নামল সিপিএম। লক্ষ্য, বাংলায় নিজেদের শক্তিবৃদ্ধি করা। শূন্যের গেরো কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শনিবারই কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হল দলের বহুল আলোচিত ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। গ্রামবাংলা চষে বেড়ানো, পদযাত্রা, বাইক মিছিল, স্থানীয় সংস্কৃতিকে সামনে আনা— এসবের সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য একটাই; আগামী ছাব্বিশের ভোটের আগে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করা এবং জনতার মধ্যে দলের শক্তি জাহির করা।

তুফানগঞ্জে এই পদযাত্রার সূচনার আগে সিপিএমের পক্ষ থেকে কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা এবং আব্বাসউদ্দিনের জন্মস্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে দল প্রকাশ করে একটি বিশেষ গানও। এই যাত্রার উদ্বোধনী কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ ছাত্র-যুব নেতৃত্বরা।

Advertisement

তবে প্রশ্ন উঠেছে, যাত্রাপথ নিয়ে। কারণ, মূল যাত্রা ঘুরবে মাত্র ১১টি জেলায়। বাদ পড়ছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা। ফলে দলের অন্দরে খোঁচা— যেখানে সংগঠন দুর্বল, যেখানে ভোটে সম্ভাবনা কম, সেইসব জেলাকেই কি বাদ দেওয়া হল? পূর্বে বহু যাত্রারই অন্তিম গন্তব্য ছিল কলকাতা। ‘ইনসাফ যাত্রা’র ক্ষেত্রেও সেই প্রথা মানা হয়েছিল। তবে এবার কেন ব্যতিক্রম, তা নিয়ে দলে গুঞ্জন তীব্র হয়েছে।

Advertisement

এই পদযাত্রার প্ল্যানিং নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এতে বঞ্চনার প্রশ্ন নেই। পরিকল্পনাই এমন। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম— এই সব জেলায় হবে মূল যাত্রা। আবার পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া-সহ কিছু জেলা উপযাত্রার মাধ্যমে মূল পথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটাকেই বলে নিবিড় যাত্রা। স্থানীয় লোকাচার, সংস্কৃতি আর সেখানকার ইস্যুগুলিতেই আমরা জোর দিচ্ছি।’

তবে দলের একাংশের মতে, সম্ভাবনাময় বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে পাখির চোখ করেই এই যাত্রাপথ সাজানো হয়েছে। সেই কারণেই কি বাদ দেওয়া হয়েছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়া জেলাকে? এই প্রশ্নের উত্তর স্পষ্টভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।

আগামী ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে শেষ হবে এই দীর্ঘ পদযাত্রা। সেই সময়ের মধ্যে সিপিএম কতটা জনমত ধরে রাখতে পারে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনা।

Advertisement