বিপর্যয় মোকাবিলায় কর্মীদের কুর্নিশ মুখ্যমন্ত্রীর

বুধবার রাতে আম্ফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়, হুগলি, দুই মেদিনীপুরসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

Written by SNS Kolkata | May 26, 2020 11:10 am

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

আম্ফান বিধ্বস্ত রাজ্যের হাল ফেরাতে যখন প্রশাসনকে তুলোধোনা করছে বিরোধী থেকে নেটিজেনরা ঠিক তখনই এই কাজে নিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের কুর্নিশ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার নবান্নে তিনি বলেন, আম্ফান বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য সরকারে দু’লক্ষেরও বেশি কর্মী চব্বিশ ঘন্টা কাজ করে চলেছেন। রাজ্যের কয়েক লক্ষ কর্মী, যারা রাস্তা থেকে গাছ সরানো, বিদ্যুৎ ও জলসরবরাহ স্বাভাবিক করা, ত্রাণ বন্টন, পরিকাঠামো পুনর্গঠন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করে চলেছেন নিরন্তর, তাদের কুর্নিশ করি। একই সঙ্গে তিনি এদিন রাজ্যবাসীকে ইদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

বুধবার রাতে আম্ফানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগণা, হাওড়, হুগলি, দুই মেদিনীপুরসহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার জেরে বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় তৈরি হয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর থেকেই পুলিশ প্রশাসনসহ রাজ্য সরকারে সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কর্মীরা ঝাপিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, টানা কাজ করেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়নি। নামাতে হয়েছে সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। তাদের সঙ্গেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছেন রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরের কর্মী।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আম্ফানকে বাংলার ইতিহাসে ভয়ঙ্করতম বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে তাঁর মতে, রাজ্যের জরুরি পরিষেবার আশি শতাংশই স্বাভাকি হয়েছে। বাকিটা দ্রুত হবে বলে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত বড় হাসপাতাল, জল প্রকল্প, জল সরবরাহের ইউনিট, সেচ ও নিকাশি পাম্প, বিদ্যুতের সাব স্টেশন কাজ করছে।

মমতা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কাজ চলতেই থাকবে। কোন দফতরের কত কর্মী আম্ফান মোকাবিলায় কাজ করেছে, তারও একটি তালিকা এদিন প্রকাশ করা হয়েছে নবান্ন থেকে। বিদ্যুৎ, দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা, সেচ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য-কারিগরি, কৃষি এবং অন্যান্য দফতর মিলিয়ে প্রায় তিরিশ হাজারের মতো সরকারি কর্মচারী আম্ফান মোকাবিলায় কাজ করেছেন।

এছাড়া জেলা প্রশাসনের ৫০ হাজার, কলকাতা-হাওড়া এবং অন্যান্য পুরসভার ২৫ হাজার, রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের (হোমগার্ড, এনভিএফএস, ভিপিভি, সিভি মিলিয়ে) আরও ১ লক্ষ ২৫ হাজার, এসডিআরএফ, এনডিআরএফ মিলিয়ে আরও প্রায় ২ হাজার অর্থাৎ সর্বমোট ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০০ জন কর্মী দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করেছেন বলে জানিয়েছে নবান্ন।

এর মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২০০ জনকে বাদ দিলে, বাদবাকি সকলেই রাজ্য সরকারের কর্মচারী। এই কর্মীদের মনোবল বাড়াতে তাদের কাজের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।