• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

এনআইওএস ডিএলএড উত্তীর্ণদের জন্য বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

২০২২-এর প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এনআইওএস থেকে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীরা।

এনআইওএস থেকে ডিএলএড করা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এনআইওএস বা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং থেকে ডিএলএড পাশ করা শতাধিক চাকরিপ্রার্থী ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের নথি যাচাই করে, যাঁরা যোগ্য, তাঁদের নিয়ে আরেকটি মেধাতালিকা তৈরি করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।’

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, ‘৯ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের যে নথি যাচাই প্রক্রিয়া চলবে, তাতে সুযোগ দিতে হবে সমস্ত মামলাকারীকে।’ আদালতের এই নির্দেশ দেখার পর এখনও যাঁরা আবেদন করেননি, তাঁরা নতুন করে আদালতে মামলা করলে নথি যাচাই প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৯ জুন থেকে ১৮ জুনের মধ্যে নথি যাচাই প্রক্রিয়ার যে সময়সীমা দিয়েছে, সেটা বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হতে পারে।

Advertisement

২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এনআইওএস থেকে ডিএলএড পাশ করা কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। আদলত জানায়, ওই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেই মতো গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নথি যাচাইয়ের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাঁরা যাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন, তাঁদেরকেই ডেকে পাঠায় পর্ষদ। সেই কারণে ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিচারপতি এদিনের রায়ে উল্লেখ করেন, ‘হাইকোর্টের মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে মামলাকারীদের মতো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্থক্য একটাই, তাঁরা শুধু শীর্ষ আদালতে মামলা করেননি।’

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা পরীক্ষা নেয় পর্ষদ। সেই পরীক্ষা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি বিএড করা চাকরিপ্রার্থীরাও বসেছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যাঁদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ২০১৪ টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। ফলে নতুন করে জট তৈরি হয়। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০২০ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। ২০২২-এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় ওই চাকরি প্রার্থীরা ডিএলএড-এর শংসাপত্র হাতে পাননি। ফলে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ আদালতে এনিয়ে মামলা করেছিলেন।

Advertisement