• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ওড়িশা সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

শুনানি চলার সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ওড়িশা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) পীতাম্বর আচার্য।

ফাইল চিত্র

ওড়িশায় বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থার প্রসঙ্গে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। শুনানি চলার সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ওড়িশা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) পীতাম্বর আচার্য।

আদালতে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ওড়িশায় প্রায় ৪০০জন বাঙালিকে আটকে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। সারা দেশে বাংলা ভাষা বললেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতের নজর প্রয়োজন।’ এই প্রসঙ্গে ওড়িশার এজি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ওড়িশার সরকারের বক্তব্য, বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ভারতীয় নাগরিক কিনা তা যাচাই করতে কেবল তাঁদের আটক করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে ওড়িশা সরকারকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার আদালতে বলা হয়, ‘ওড়িশার এজি মুখে যা বলেছেন, তা হলফনামা আকারে আদালতে জানাতে হবে।’

Advertisement

ওড়িশার অ্যাডভোকেট জেনারেল পীতাম্বর আচার্য আদালতে বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’ তাঁর বক্তব্য, কোনও পরিযায়ী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কেবল ভারতীয় নাগরিক কিনা তা যাচাই করতে আটক করা হয়। আইন মেনেই তা যাচাই করা হয়েছিল। পাশাপাশি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার প্রেক্ষিতে তিনি জানান, ‘বাঙালিরা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা বাঙালি বিদ্বেষী নই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা আমাদের ভাই, বোন, মা। ওড়িশার অনেকে পশ্চিমবঙ্গে থাকেন, আবার পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষই ওড়িশায় থাকেন। ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিও একজন বাঙালি। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি করবেন না।’

Advertisement

ওড়িশা সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের সাইনুর ইসলাম-সহ দুই বাঙালি শ্রমিককে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হরিহরপাড়ায় ফিরে গিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, আগামী ২৯ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওড়িশা সরকারকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ওই হলফনামায় স্পষ্ট করতে হবে যে, ওই দুই শ্রমিককে আসলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিনা। হেনস্থার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তা জানাতে হবে। সেদিন ওড়িশা সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ওড়িশায় বাংলার বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করা হয়েছিল। এ বিষয় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ওড়িশার মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছিলেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু শ্রমিক রাজ্যে ফিরে এসেছেন বলেও খবর মিলেছে।

Advertisement