• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত চাঁচল

বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত মালদহের চাঁচলের আশ্রমপাড়া এলাকা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ৭ জন।

প্রতীকী ছবি

বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত মালদহের চাঁচলের আশ্রমপাড়া এলাকা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের এই ঘটনায় জখম হয়েছেন অন্তত ৭ জন। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।

বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মা এবং বিজেপি নেতা সুমিত সরকারের গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন মধ্যরাতে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরোনো বিবাদকে কেন্দ্র করে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রসেনজিৎ ও সুমিত দুই জনেই জখম হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে চাঁচল থানার পুলিশ। গেরুয়া শিবিরের এই দুই নেতার মারপিটের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তৃণমূলের স্থানীয় এক যুব নেতা জয়ন্ত দাসকেও দেখা গিয়েছে। বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় তিনি ওই এলাকায় কী করছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

ঘটনার পর সুমিত ও প্রসেনজিৎকে ভর্তি করানো হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুমিতকে ছেড়ে দেন চিকিৎসকরা। প্রসেনজিতের আঘাত গুরুতর হওয়ায় এখনও হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রসেনজিতের অভিযোগ, সুমিত বিজেপি করেন না৷ তৃণমূলের হয়ে দালালি করেন৷ সুমিতের মদতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে মারধর করেছে। অন্যদিকে সুমিতের অভিযোগ, একটি কাজে আশ্রমপাড়ায় গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর দলবল। ফেরার সময় তাঁদের উপর ১০–১২ জন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তাঁদের সকলের হাতে লোহার জিনিস ছিল।

Advertisement

বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সাতজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের সদস্য হলেন প্রসেনজিৎ শর্মা। অন্যদিকে সুমিত সরকারের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা হালদার সরকার থানাপাড়া বুথের সদস্য। এই বুথ দুটি পাশাপাশি এলাকায় অবস্থিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই সুমিত ও প্রসেনজিতের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। প্রসেনজিতের বাড়ি থানাপাড়ায় হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বিজেপি প্রিয়াঙ্কাকে প্রার্থী করে। এর জেরে আশ্রমপাড়া বুথে প্রার্থী হতে বাধ্য হন প্রসেনজিৎ। এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তা চরম রূপ নেয়।

Advertisement