কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টির এক হোটেলে মঙ্গলবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন পুরুষ, এক মহিলা এবং দুই শিশু। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙ্গুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, ‘হোটেলে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণেই এত জনের মৃত্যু হয়েছে।’ নিহত এবং আহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও।
বুধবার এ প্রসঙ্গে সাংসদ অভিষেক এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মেছুয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ উল্লেখ্য, এদিন দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং বিধান সরণির সংযোগকারী ঘিঞ্জি রাস্তায় অবস্থিত এই হোটেলটিতে আগুন লাগার ফলে আশপাশে প্রচুর দোকান ও বাড়িতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। মঙ্গলবারের পর বুধবারও চলে উদ্ধারকার্য। এ প্রসঙ্গে অভিষেক লেখেন, ‘রাজ্য প্রশাসন বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং কার্যকর ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।’
অভিষেক অবশেষে লিখেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সঙ্গে অটল সংহতি প্রকাশ করছি।’
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ জোড়াসাঁকোর মদনমোহন বর্মন স্ট্রিটের ৬ নম্বর লেনের একটি ৬ তলা হোটেলে আগুন লাগে। লেলিহান শিখা দ্রুত অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। আগুনের গ্রাসে চলে যায় হোটেলটি। স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলে ভোর ৩টে পর্যন্ত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা এবং রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।