নেপালে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা। রাস্তা থেকে ছিটকে নদীতে পড়ল বাস। বাসটিতে ভারতীয় যাত্রীরা ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৪ জনের।
নেপাল পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার তানাহুন জেলার মারস্যাংদি নদীতে পড়ে যায় ৪০ জন যাত্রীবোঝাই একটি বাস। এই বাসে যাত্রীরা ভারতের। তানাহুনের জেলা পুলিশ অফিসের ডিএসপি দীপকুমার রায় জানিয়েছেন, বাসটি পোখারা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। বাসটির নম্বর ইউপি এফটি ৭৬২৩। এই দুর্গটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর হয়েছে।
Advertisement
১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছজ্য। দুর্ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।
Advertisement
সিনিয়র পুলিশ সুপার মাধব পাউডেলের নেতৃত্বে নেপাল সেনাবাহিনীর একটি দল, ৪৫ জন আর্মড পুলিশ ফোর্স কর্মী এবং ১০ জন ডুবুরি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তারা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ২৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের ৪৫ জন আর্মড পুলিশ ফোর্স কর্মীর নেতৃত্বেই এই উদ্ধারকাজ চলছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জুলাই মাসে নেপালে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। চিতওয়ান জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে দুটি বাস নদীতে ভেসে যায়। চিতওয়ান জেলার নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়কের সিমলতাল এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নেপালে বর্ষাকালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে টানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের কারণে নেপালে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত দু’মাস ধরে নেপালে টানা বৃষ্টি চলছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
টানা বৃষ্টিতে নেপালে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। গত দু’মাসে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জনের। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুষলধারে বৃষ্টি হয় নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলে। পার্বত্য অঞ্চলে টানা বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনাও ঘটে। ভারী বর্ষণের ফলে নেপালে প্রতি বছর ভূমিধস ও বন্যা হয়।
Advertisement



