দিল্লি – ২৫ এপ্রিল – মোদি পদবি মামলায় কিছুটা স্বস্তি রাহুল গান্ধির। নিম্ন আদালতের সমনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল পটনা হাই কোর্ট। মোদি পদবি নিয়ে মন্তব্যে জেরে গুজরাতের পাশপাশি বিহারের নিম্ন আদালতেও একটি মানহানির মামলা হয় রাহুলের বিরুদ্ধে। তার জেরেই সমন জারি হয়েছিল। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সুশীল মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। ওই মামলায় ১২ এপ্রিল রাহুলকে ডেকে পাঠায় নিম্ন আদালত। ২২ এপ্রিল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাটনা হাই কোর্টে আবেদন জানান রাহুল। সেই মামলায় সোমবার নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় পাটনা হাই কোর্ট। ১৫ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ২৩ মার্চ সুরাটের আদালত ‘মোদি’ পদবি নিয়ে অনৈতিক বক্তব্যের জন্য ২ বছরের জেলের শাস্তি দিয়েছিল৷ সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে৷ রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়৷ ২০১৯ সালের একটি রাজনৈতিক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। সংসদের সদস্যপদ বাদ যায় রাহুলের৷ সাজা ঘোষণার পর রাহুলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়৷ তার পর সেশন কোর্টে এই সাজা ঘোষণার পর ফের আবেদন করেন রাহুল গান্ধি৷ তিনি এই সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু সুরাটের আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
Advertisement
অভিযোগ, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়ানাড়ে ভোট প্রচারে গিয়ে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল। সেই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাতের এক নেতা৷ গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সেই মামলায় রাহুলকে ২ বছর জেলের সাজা দেয়। তার পরেই গত ২৪ মার্চ ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদের নিয়ম মেনে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি ২ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ওই ব্যক্তির সাংসদ অথবা বিধায়ক পদ তখনই খারিজ হয়ে যায়।
Advertisement
পাটনা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের পর এ বিষয়ে রাহুল গান্ধির আইনজীবী বীরেন্দ্র রাঠোর বলেন, ”যখন একই বিষয়ে সুরাটের আদালতে মামলা চলছেই, তখন অন্য একটি আদালতে একই বিষয়ে মামলা করা বেআইনি। আগামী ১৫ মে অবধি নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে পটনা হাই কোর্ট।”
Advertisement



