• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অবশেষে চিনের সাফাই, সন্ত্রাস দমনেই উইঘুর মুসলিমদের ওপর দমন নীতি 

বেইজিং, ৯ অক্টোবর– বহু দিন ধরে  অস্বীকার করে এলেও অবশেষে উইঘুরে মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের কথা স্বীকার করল চিন। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে এই নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল ভারত। কিন্তু সেব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি চিন। তবে

বেইজিং, ৯ অক্টোবর– বহু দিন ধরে  অস্বীকার করে এলেও অবশেষে উইঘুরে মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের কথা স্বীকার করল চিন। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে গুরুতরভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে এই নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল ভারত। কিন্তু সেব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি চিন। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে নেমে পড়েছে তারা। জিনপিংয়ের দাবি, ওই প্রদেশের উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগের কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে হয়েছে।

চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”আমি এই সংলগ্ন রিপোর্টগুলি পেয়েছি। এই বিষয়ে জোরের সঙ্গে বলতে পারি যে, শিনজিয়াং প্রদেশের ইস্যুটির মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদের সঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়।” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, কঠোর পদক্ষেপ করার ফলেই শিনজিয়াংয়ে টানা পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনও ধরনের সন্ত্রাসমূলক ঘটনা ঘটেনি।

প্রসঙ্গত, শিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিতর্কের একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয় বৃহস্পতিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। পরিষদের ৪৭টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৭টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে সায় দিলেও বিরোধিতা করে ১৯টি দেশ। ভোটদান থেকে বিরত থাকে ১১টি দেশ। সেই তালিকায় ভারত ছাড়াও রয়েছে ব্রাজিল, ইউক্রেন, মেক্সিকোর মতো দেশ। খসড়া প্রস্তাবটি পেশ করেছিল কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলির সম্মিলিত গ্রুপ।

Advertisement

এর আগে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছিল ভয়ংকর দাবি। কী রয়েছে মানবাধিকার কমিশনারের সেই রিপোর্টে? বলা হয়, শিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের। এই সমস্ত তথ্য বিস্তারিতভাবে রাষ্ট্রসংঘের ৪৯ পাতার রিপোর্টে উঠে এসেছে।

Advertisement

Advertisement