নিজস্ব প্রতিনিধি- সোমবার সকালে ঘুসুড়ির গিরীশ ঘোষ রোড এলাকার একটি কারখানায় ক্লোরিন গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনায় অসুস্থ হল প্রায় ৫০ জন।
এই ঘটনায় ব্যপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল থেকে ওই কারখানা সংলগ্ন এলাকায় ঝাঁঝালো গন্ধ পান তারা। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
Advertisement
হাওড়া সদর এলাকায় দমকল বিভাগের প্রধান অফিসের সামনে ক্রেন ভেঙে বিপত্তি বাধে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেন বেরিয়ে না যায় এবং মানুষ যেন অসুস্থ হয়ে না পড়েন, একথা মাথায় রেখে বালি থেকে দুটি ইঞ্জিন যায় ঘটনাস্থলে।
Advertisement
দমকলকর্তারা ওই কারখানার মধ্যে প্রবেশের পর দেখতে পান পুরোনো একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার কাটাই করার সময় ওই ট্যাঙ্ক থেকে নির্গত হতে শুরু করে ক্লোরিন। দমকলকর্মীরা তড়িঘড়ি সাবান দিয়ে ক্লোরিন নির্গত হওয়া আটকায়।
প্রাথমিক মেরামতির পর লিক হওয়া ট্যাঙ্কটিকে নিয়ে গঙ্গার জল ফেলে দিলে সেখানেঈ ট্যাঙ্কটি ফেটে যায়। যার ফলে জলে ক্লোরিন মিশে দূষিত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান।
এরপর ক্লোরিনের ঝাঁঝালো গ্যাসে অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জয়সওয়াল হাসপাতাল, শ্রমজীবী হাসপাতাল ও আইডি হাসপাতালে। এলাকায় আরও বেশ কয়েকজনের অসুস্থতার খবর মিলতে ঘটনাস্থলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হয়।
দমকলের তরফে ওই কারখানার আশেপাশে এমনই মানুষজনের চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছে। কীভাবে কোনওরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এভাবে কাজ করা হত এবং নিয়ম মেনে কারখানাটি চলছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। ঘুসুড়িতে গ্যাস লিক সামাল দিতে একপ্রকার হিমিশিম খেতে হয়েছে তাদের। সেই সময় ওয়ার্ড অফিস থেকে কোনও লোক পাঠান হয়নি।
এই অভিযোগ তুলে ওয়ার্ড অফিসে ঢুকে টেবিল চাপড়ে, গালিগালাজ দিয়ে শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলার সীমা ভৈমিকের স্বামী দিবাকর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কাউন্সিলারের স্বামীর এই ধরনের দাদাগিরি কার্যকলাপ দেখে একপ্রকার স্তম্ভিত ওয়ার্ড অফিসের কর্মীরা।
যদিও, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের স্বামী দিবাকর চক্রবর্তী এবিষয়ে জানান, যখন গ্যাস লিক হওয়ার ঘটনা ঘিরে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ওয়ার্ড অফিস থেকে কোনও লোক পাঠান হয়নি। এরই মধ্যে গ্যাসের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। এঘটনার পর ক্ষোভ থেকেই মাথাগরম হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি। যদিও দিবাকর চক্রবর্তীর আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মীরা বলেন, এটি বাঞ্চনীয় নয়।
Advertisement



