মঙ্গলবারই কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বন্টন নীতির সমালােচনা করে অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বুধবার একই দাবিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
টিকার সমবন্টন বজায় রাখতে টিকাকরণের গােটা প্রক্রিয়াটিই যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে হয়, সেটা বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন নবীন। প্রয়ােজনে এই ক্ষেত্রে একটা যৌথ কমিটিও গড়ার সুপারিশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকার বিবৃতি দিয়েছিল ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সকলের টিকাকরণ হয়ে যাবে।
Advertisement
বুধবার নবান্নে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা অভিযােগ করেন, কেন্দ্র মুখে বলছে সকলকে টিকা দিয়ে দেবে। কিন্তু রাজ্যগুলিকে তাে টিকাই দিচ্ছে না। কীভাবে টিকাকরণ হবে? কেন্দ্রের টিকানীতির ফের সমালােচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisement
একই ইস্যুতে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সমর্থন চেয়ে চিঠি পাঠালেন নবীন পট্টনায়েক। সেখানে তিনি লিখেছেন সব রাজ্যই নিজেজের মতাে দরদাম করে টিকা কেনার প্রতিযােগিতায় নেমেছে। গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে একদিকে যেমন টিকার বিতরণ সমানভাবে হবে না, তেমনই সাধারণ মানুষের টিকা পেতেও দেরি হবে নবীন পট্টনায়কের আর্জি, এক যাত্রায় পৃথক ফল না করে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার গােটা দেশের জন্য এক লপ্তে টিকা কিনে নেয় এবং পরে তারাজ্যগুলিকে সামঞ্জস্য রেথে বিতরণ করে, তাহলে টিকাকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত ও নিয়মমাফিক হতে পারে।
সেক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ কমিটি তৈরি করার জন্যও আবেদন রেখেছেন তিনি। যে কমিটি ভ্যাকসিন কিনবে ও সরল্লাহ করবে। করােনার দ্বিতীয় ঢেউতে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। তৃতীয় ঢেউও আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন নবীন পট্টনায়েক।
Advertisement



