কলকাতার রাস্তায় বেপরােয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন এক কনস্টেবল সহ দু’জন। অভিযােগ, এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ওই গাড়ির চালককে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় কসবা থানার পুলিশ ওই গাড়ির চালক সহ তিনজনকে আটক করেছে। এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক ধাবার মালিককেও রাতে আইন ভেঙে ধাবা খােলা রাখার অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা রাজদীপ শর্মা কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কসবা এলাকার একটি ধাবাতে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা রাতভর হুল্লোড় করেন। তারপর তারা ভােরের দিকে রাজডাঙা এলাকায় এক মহিলার চায়ের দোকানে যান। সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে বচসা হয় রাজদীপ ও তার বন্ধুদের।
Advertisement
তখনকার মতাে রাজদীপ ও তার বন্ধুরা সেখান থেকে চলে গেলেও, আবার ভাের ৫ টা ১০ নাগাদ ফিরে আসে রাজভাঙার ওই জায়গাতে। সেখানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল একটি গাড়ি। রাজদীপের বিএমডাব্লু সজোরে সেই গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। পিছনেই দাঁড়িয়েছিলেন এক কনস্টেবল। তিনিও গাড়ির ধাক্কায় আহত হন।
Advertisement
এরপর আরও গতি বাড়িয়ে রাজদীপরা পালানাের চেষ্টা করলে, জখম হন আরও দু’জন। তাদের মধ্যে তপন দে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। কনস্টেবলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশের দাবি, এরপর গাড়িটিকে কোনওরকমে ধরে গাড়ির চালককে বের করে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা।
কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজদীপ সহ তিনজনকে আটক করে। আইন ভেঙে রাতে ধাবা খােলা রাখার অপরাধে ধাবার মালিক রােহিত রাজপূতকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধাবার ভিতরেই হুক্কাবার, মদ্যপান চলছিল। রাজদীপ নেশা করে ওই অবস্থাতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ফলে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। রাজদীপের সঙ্গে তার দুই বন্ধু অভিষেক দা এবং চন্দ্র পালকে আটক করেছে পুলিশ।
Advertisement



