বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দাদা অজিত ব্যানাজি হেরে গেলেন ছােট ভাই স্বপন ব্যানার্জির কাছে। সভাপতি পদে দুই ভাইয়ের লড়াই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নানা গুঞ্জন ও আলােচনায় মুখর ছিল কলকাতা ময়দান। শেষ পর্যন্ত রবিবার নির্বাচনে ছােট ভাই স্বপন ব্যানার্জি প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দাদা অজিত ব্যানার্জির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাজিমাত করেন। স্বপন ব্যানার্জি ৩৭-২৪ ভােটে বিদায়ী সভাপতি অজিত ব্যানার্জিকে পরাস্তা করেন।
আবার সচিব পদে মর্যাদার লড়াইয়ে জিতে গেলেন জহর দাস ৩৮-২৩ ভােটে বিশ্বরূপদের বিপক্ষে। সিএবির প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ এবারে চেষ্টা করেছিলেন বিওএ র সচিব হয়ে আবার ক্রীড়া প্রশাসনক হিসেবে নিজের নাম লেখাতে। কিন্তু সেই স্বপ্নপুণ হল না। বছর দেড়েক আগে আইএফএর সচিব পদে লড়াই করবার ইচ্ছা প্রকাশ করে সরে দাঁড়ান, কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ফোন রুপেশ কর।
Advertisement
জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে জিতলেন অসিত কুমার সাহা, দিলীপ পালিত, জাভেদ চৌধুরী ও সুরভি মিত্র। সহসভাপতি হলেন কমল মৈত্র, ভি কে তাল, সুব্রত দে, রামানুজ মুখার্জি, গৌতম সিনহা, গৌতম গাঙ্গুলি ও চন্দন রায় চৌধুরী। চন্দন জিতলেন কাস্টিং ভােটে অশােক বসুর বিপক্ষে। সবচেয়ে কম ভােট পেয়েছেন সহ সভাপতি পদে প্রাক্তন সচিব কমলেশ চ্যাটার্জি সবচেয়ে কম ভােট পেয়েছেন, হেরেছেন জয়েন্ট সেক্রেটারি পদে তপন বক্সি।
Advertisement
সভাপদিপদে জেতার পরে স্বপন ব্যানার্জি বলেন, এই জয় বিওএর অনুমােদিত সংস্থাকে উৎসর্গ করলাম। দলগত প্রয়াসে সাফল্য এসেছে, বাংলার ক্রীড়া উন্নয়নে বড় ভূমিকা নিতে চাই। অলিম্পিক ভবন তৈরি করার সবরকম চেষ্টা করবাে। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া খেলাধূলােকে বিশেষ নজর দিতে চাই। মফস্বল ও প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মেয়েদের খেলাধুলাের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশেষ পরিকল্পনা করবাে। সবার সহযােগিতা কথা বললেন প্রতিটি পদক্ষেপে।
Advertisement



