রাজস্থান নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছেই। শচীন পাইলটরা বিদ্রোহ করে দিল্লিতে যাওয়ার পর থেকেই ঘর গোছাতে শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট । পাইলটের নখদন্ত ভাঙতে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানোর পর বিধায়কদের হোটেলবন্দি করে পর্যাপ্ত সংখ্যা নিশ্চিত হতেই অধিবেশন ডেকে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে মরিয়া গেহলট ।
কিন্তু রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র আবার ২১ দিনের নোটিশের জন্য দাবিতে অনড়। এ অবস্থায় রাজস্থান নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। তাদের মতে, রাজ্যপাল বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে না চাইলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে দাবি কংগ্রেসের। কারণ কংগ্রেসের মতে, তিন সপ্তারে নোটিশের গল্প মানেই বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া।
Advertisement
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ওপর চটেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তিনি আবার দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে পর্যাপ্ত বিধায়ক সংখ্যা হাতে থাকায় আস্থা ভোটের দাবি করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এজন্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে রাজ্যপালের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে গেহলট শিবির।
Advertisement
এদিকে গেহলটের দাবি মানতে শর্ত চাপিয়েছেন রাজ্যপালও। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কি আস্থা ভোট চাইলে অধিবেশন ডাকতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু তা না হলে ২১ দিনের সময় দিতে হবে। কারণ এই মহামারির পরিস্থিতিতে এত অল্প সময়ের নোটিসে অধিবেশন কো যাবে না। তা ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বিধির বিষয়েও জানতে চান রাজ্যপাল।
এদিকে রাজ্যপালের ২১ দিনের সময় চাওয়া বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে, বলে একহাত নিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীর। কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজস্থানেও গেরুয়াকরণের চেষ্টা চলছে বলে তাদের অভিযোগ। আর বিজেপিকে আপাতত সেই সুযোগ না দেওয়ার জন্যই এবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজায় কড়া নাড়ার দিকেই গেল।
রাজ্যপাল অধিবেশন না ডাকলে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রপতি হস্তক্ষেপ করে রাজস্থানের রাজ্যপালকে বিধানসভার অধিবেশন ডাকার নির্দেশ দিন। এ বিষয়ে তাঁর সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে।
Advertisement



