সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই রাজ্য জুড়ে আপাতত সপ্তাহে দু’দিন করে পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করা হবে। মঙ্গলবার সেই লকডাউনের নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। কোন কোন ক্ষেত্র খোলা থাকছে তা এই গাইডলাইনে প্রকাশ করা হয়েছে।
১. স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় কিছু খোলা থাকবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের যাতায়াতও স্বাভাবিক থাকবে।
২. খোলা থাকবে ওষুধের দোকান।
৩. দমকল দফতর, থানা, আদালত লকডাউনের আওতায় পড়ছেনা।
৪. জল ও সাফাই বিভাগ এবং বিদ্যুত বিভাগের স্বাভাবিক কাজকর্ম চলবে।
৫. শিল্প কারখানাগুলি তাদের নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু রাখবে।
৬. কৃষিকাজ ও চাবাগানের কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
৭. রাজ্যের মধ্যে পণ্য পরিবহণের কাজ চলবে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
৮. ই-কর্মাস প্লাটফর্মগুলিও তাদের কাজ চালাতে পারবে।
৯. প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়া লকডাউনের আওতায় থাকছে না।
১০. রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারিও করা যাবে।
Advertisement
এই সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শনিবার লকডাউন হবে বলে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে বুধবার হবে লকডাউন। তবে পরের সপ্তাহে আর কোন দিন পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করা হবে তা নিয়ে বৈঠক হবে সোমবার।
Advertisement
লকডাইন চলবে সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন আগামি ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। মঙ্গলবারের বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব আরো জানিয়েছিলেন, বাংলার কোথায় কোথায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। সেই সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই দু’দিনের লকডাউনের পথে আপাতত হাঁটছে রাজ্য।
Advertisement



