দিল্লি, ১৫ মার্চ- জইশ মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া থেকে চিনের বিরত থাকাকে ভারতের কূটনৈতিক পরাজয় বলে আখ্যা দিয়েছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেস দলের এই মন্তব্যকে নস্যাৎ করে পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ট্যুইট করেছেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত সরকার মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী ঘোষণায় বিশ্বের সকল দেশের সমর্থন আদায়ে সমর্থ হয়েছে । রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের এই প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্য দেশই সমর্থন জানিয়েছে। এমনকী কাউন্সিলের সদস্য এমন দেশ অস্ট্রেলিয়া , বাংলাদেশ, ইতালি, ও জাপানে প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। চলতি সময়ে ভারত রাষ্ট্র সঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে এবং এটা ভারতের কূটনৈতিক জয়।
তিনি ট্যুইটে বলেন, দেশের এমন গর্বের সময়ে যারা নরেন্দ্র মোদি সরকারের কূটনৈতিক পরাজয়ের কথা বলে বেড়াচ্ছেন তারা নিজেদের দিকে একবার চেয়ে দেখুন । ২০০৯ সালে ভারত কংগ্রেসের শাসনকালে রাষ্ট্র সঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে একেবারেই একা পড়ে যায়। তখন তাকে সমর্থনের কেউ ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে আজহার মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্ণিত করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র সঙ্ঘের বৈঠকেই অধিকাংশ দেশই ভারতের মতকেই সমর্থন জানিয়েছে দ্ব্যর্থহীনভাবে। তবে খুশির কথা যে বিরোধী দল গুলি আজহার মাসুদকে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দেশগুলির বিরুদ্ধে গিয়ে মত দেওয়ায় চিনেরো সমালোচনা করেছে।
Advertisement
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁর ট্যুইটে উল্লেখ করেছেন, ১৯৯৯ সালে বিজেপির শাসনকালে কান্দাহারে ভারতীয় বিমান অপহরণের ফলে যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে আজহার মাসুদকে ভারতীয় জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
Advertisement
নরেন্দ্র মোদি কোনও প্রাক প্রস্তাব ছাড়াই চিনের উহানে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক করে খুবই উদারতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। কিন্তু বিনিময়ে চিন ও পাকিস্তান বার বার ভারতকে তাদের রক্তচক্ষু প্রদর্শনে দ্বিধা করছে না।
Advertisement



