‘নিখোঁজ নয়, আইএসআই’র নিরাপদ আশ্রয়ে আছে মাসুদ!’ পাক দাবি ওড়ালেন গোয়েন্দারা

গােয়েন্দাদের রিপাের্ট বলছে, পাকিস্তানি সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই একটি নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রেখেছে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার।

Written by SNS New Delhi | February 19, 2020 2:45 pm

মাসুদ আজহার (File Photo by Aamir QURESHI / AFP)

পাকিস্তান দাবি করেছিল যে, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহার’কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গােয়েন্দাদের রিপাের্ট বলছে, পাকিস্তানি সেনা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই মাসুদ’কে একটি নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রেখেছে।

সুত্রের দাবি, মাসুদ আজহার ও তার পরিবার নিখোঁজ নয়। প্যারিসের সম্মেলনের প্রাক্কালে তাদের একটি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। বাহাওয়ালপুরের একটি নিরাপদ আশ্রয়ে তাদের রাখা হয়েছে বলে খবর।

সুত্রের দাবি, বর্তমানে জইশের নয়া হেডকোয়ার্টার যেখানে রয়েছে, সেই মারকাজ উসমান ও আলিতে রাখা হয়েছে মাসুদকে। বাহওয়ালপুর-করাচি রােডে জইশের হেডকোয়ার্টারে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আছে মাসুদ।

২০০২ সালে সংসদ হামলা ও গত বছর পুলওয়ামা হামলার চক্ৰী জৈশ জঙ্গীদের মূল মাথা মাসুদ আজহার সপরিবার বেপাত্তা বলে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) কাছে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। তাদের যুক্তি, সেই কারণেই মাসুদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি।

সূত্রের খবর, প্লেনারি অধিবেশনেও পাকিস্তান এক যুক্তি দেয় কি না তা দেখার জন্য ভারত এখন শান্তভাবে অপেক্ষা করছে। যদি সেখানেও তারা পুরােনাে সুরে কথা বলে, সে ক্ষেত্রে হাটে হাঁড়ি ভাঙবে নয়া দিল্লি।

গােয়েন্দা সুত্রে খবর, রীতিমতাে অক্ষ ও দ্রাঘিমা দিয়ে মাসুদ আজহারের বর্তমান ডেরার হদিশ জানানাে হবে সেখানেই।

সম্প্রতি ভাই রউফ আজঘরের হাতে জৈশের পরিচালনভার তুলে দিয়েছে মাসুদ। খবর, গত অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে নিদেনপক্ষে শ’খানেক জঙ্গিকে ভারতে ঢুকিয়েছে সে। কিন্তু পাকিস্তান তার বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি।

এতেই শেষ নয় হামলার মূল চক্রী জাকিউর রহমান লকভি সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে ভারতীয় গােয়েন্দাদের কাছে যার উপযুক্ত ব্যবহার প্লেনারি অধিবেশনে করা হতে পারে। তাঁদের মতে, বার্মা টাউনে আইএসআইয়ের নিরাপদ আশ্রয়েই রয়েছে লকভি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একেও বেপাত্তা বলে এফএটিএফের কাছে জানিয়েছিল ইসলামাবাদ। এবং সে কারণেই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যায়নি, চেনা যুক্তি ছিল তাদের।

তবে এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান বিরােধিতায় জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান ও লস্কর-ই-তৈবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার প্রসঙ্গটি সম্ভবত তুণীরের প্রথম তির হিসেবে ব্যহার করবে ভারত। লাহােরের সন্ত্রাসবিরােধী আদালতের দেওয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে যে ফের আবেদন জানানাে হতে পারে সে কথা এফএটিএফের সদস্য দেশগুলিকে জানিয়ে নয়া দিল্লি বােঝানাের চেষ্টা করবে যে ওই জঙ্গিনেতাকে সম্প্রতি যে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তা চুড়াত নয়।

কাজেই এই পদক্ষেপ অপরিবর্তনীয় বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। উল্লেখ্য, আগেই ওই রায়ের সময় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ভারত। তাদের যুক্তি ছিল, প্যারিসের অধিবেশন শুরু হওয়ার ক’দিন আগেই সইদকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে যা কি না পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেই।