একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই পড়ুয়া জানান, পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাঁকে হিজাব খুলে দেখাতে বলেন। পাশাপাশি তাঁর সামাজিক পরিচয় নিয়েও মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ। ‘অনগ্রসর সম্প্রদায়’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা তিনি অপমানজনক বলে মনে করছেন।
Advertisement
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই অভিযোগ মানতে নারাজ। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটি কোনও ধর্মীয় বৈষম্যের ঘটনা নয়। পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং পরীক্ষার্থীদের কাছে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস লুকোনো রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্যই ওই তল্লাশি করা হয়েছিল। যদিও প্রশাসনের তরফে এমন জানানো হয়েছে, বিষয়টি আরও সংবেদনশীল ভাবে পরিচালনা করা যেত।
Advertisement
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন একাংশ পড়ুয়া প্রতিবাদে শামিল হন। তাঁদের হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল— ‘নো প্লেস ফর ইসলামোফোবিয়া’। ঘটনাটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও মতবিরোধ স্পষ্ট। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, এটি ধর্মীয় পরিচয়ের উপর হস্তক্ষেপ। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরো বিষয়টি পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মের মধ্যেই পড়ে।
বিতর্ক আরও বাড়ে যখন জানা যায়, রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশন শীঘ্রই উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে পারে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে বিতর্কিত বলে মানতে রাজি নয়। ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্য, স্বচ্ছ পরীক্ষার স্বার্থেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এমনকী সেই সময় ছাত্রীটি কোনও আপত্তি তোলেননি বরং নিজেই হিজাব খুলে দেখিয়েছিলেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন প্রতিবাদ ঘিরে বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।
Advertisement



