মরসুমের শীতলতম দিন। প্রথমবার কলকাতার তামপাত্রা একধাক্কায় নেমে এল ১৩ ডিগ্রির ঘরে। বড়দিনে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ০.৮ ডিগ্রি কম। পাল্লা দিয়ে বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১.৯ ডিগ্রি কম। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও ২-৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে। তার পরের চার দিনে তাপমাত্রায় বিশেষ হেরফেরের সম্ভাবনা নেই।
পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। জাঁকিয়ে শীতের আমেজ দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, গত ৯ বছরে বড়দিনে দ্বিতীয়বার কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রিতে নামল। ২০১৬ সালে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৪ ডিগ্রি। এবার সেই তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি। সঙ্গে কুয়াশাও রয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রাও একধাক্কায় অনেকটা নেমে গিয়েছে। পুরুলিয়ায় তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রির ঘরে।
Advertisement
শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও শীতের আমেজ। দার্জিলিঙের তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রিতে নেমেছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের অন্য জেলার তাপমাত্রাও নীচের দিকে। ফলে বড়দিনে উত্তর থেকে দক্ষিণে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত।
Advertisement
উত্তর ভারতে একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা সরেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। এর জেরেই বর্ষশেষে তাপমাত্রা কমেছে পশ্চিমবঙ্গে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে। তার পর থেকে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আপাতত রাজ্যের সর্বত্র আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। তবে সকালের দিকে কুয়াশায় ঢাকবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে কুয়াশার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকবে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে। এই তিন জেলায় ঘন কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ২০০ থেকে ৫০ মিটারে। কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। উত্তরেও চলবে কুয়াশার দাপট। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে।
Advertisement



