গবেষণায় প্রায় ৩৭ বছর ধরে অংশগ্রহণকারীদের অনুসরণ করা হয়েছে। তাঁদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শারীরিক কার্যকলাপ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যাঁরা মধ্য ও শেষ জীবনে সবচেয়ে সক্রিয় ছিলেন, তাঁদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি ৪০-৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কম। অন্যদিকে, প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় ব্যায়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও, ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে তার কোনও শক্তিশালী পৃথক প্রভাব পাওয়া যায়নি।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো সমস্যা সাধারণত মধ্যবয়সের পর বাড়তে থাকে, যা মস্তিষ্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। দ্রুত হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার, নাচ কিংবা নিয়মিত গৃহস্থালির কাজ, এমনকি মাঝারি মাত্রার ব্যায়ামই ডিমেনশিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শারীরিক কার্যকলাপ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। সঠিক বয়সে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা ডিমেনশিয়া প্ৰতিরোধ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
Advertisement
Advertisement



