ছেলে ও ভাইপোর হাতে খুন বাবা। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত পবন চৌধুরী (৫৫)-এর বিরুদ্ধে তাঁর নাবালিকা মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। এছাড়াও একাধিক কুকীর্তির অভিযোগ ছিল বিরুদ্ধে। পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, নিহত পবন চৌধুরী রাজস্থানের দীগ জেলার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, শ্লীলতাহানি-সহ বহু অপরাধের মামলা রয়েছে।
মৃত পবন চৌধুরীর মৃত্যু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দিওয়ালির দিন পবনের দুই নাবালিকা মেয়ে বাবার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে মথুরার কোসিকেলান এলাকায় তাঁদের কাকার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পবনের নাবালক ছেলেও সেখানেই থাকত।
Advertisement
রবিবার মেয়েদের ফেরাতে পবন তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে যান, জোর করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে মেয়েরা। এতেই পবনের ছেলে ও ভাইপো ছুটে এসে বাধা দেয়। পবন ছেলেদের ভয় দেখতে পিস্তল, তলোয়ার বের করে ভয় দেখতে শুরু করেন। এই গণ্ডগোলের মধ্যেই নাবালক ছেলে এবং ভাইপো পবনের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
খবর পেয়ে কোসিকেলান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পবনের ভাই রামদেবের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাবালকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে পবন তাঁর ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েদের জোর করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। মেয়েরা চিৎকার শুরু করলে সেই সময় পবন পিস্তল ও তলোয়ার নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন।মথুরার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ), সুরেশ চন্দ্র রাওয়াত জানিয়েছেন যে পবনের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পবন তাঁর দুই নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন, যে কারণে মেয়েরা বাবার সঙ্গে থাকতে চাইত না।
Advertisement



